E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় ঈদ আনন্দ বঞ্চিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা

২০১৫ জুলাই ১৫ ২০:৪৩:১১
আগৈলঝাড়ায় ঈদ আনন্দ বঞ্চিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা সরকারি সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে বাসিন্দারা।

আশ্রয়ন প্রকল্পটি উপজেলার সীমান্তবর্তী ও ২ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হওয়ায় বাসিন্দাদের সব সময় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে। এখানের বাসিন্দারা ঈদ সাহায্য-সহযোগিতা বা আনন্দ থেকে সবসময় বঞ্চিতই থাকছেন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উপজেলার পয়সারহাট নদীর তীরবর্তী বাগধা ও বাকাল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা পয়সারহাট-গোপালসেন মৌজায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় ২০০০ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পে ১০টি শেডে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১০০টি ভূমিহীন ও দুঃস্থ পরিবারের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে আশ্রয়ন প্রকল্পে ৭৫টি পরিবার বসবাস করছে বলে জানা গেছে।

অপর ঘরগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে রেখে তারা তাদের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রকৃত ভূমিহীন যাচাই বাছাই না করে তালিকাভুক্ত করায় ভূমিহীন বাদেও অন্যরা প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী ১০টি পরিবারের প্রতিটি শেডে ১টি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, ২টি গোসলখানা ও ১টি গভীর নলকূপ থাকার কথা থাকলেও পয়ঃনিস্কাশনের অপর্যপ্ততা, নলকূপ ও গোসলখানার সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য সংস্কার করা হলেও ঘরের টিন দিয়ে পানি পড়ছে বলে বাসিন্দারা জানান।

ঈদ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা তাদের ভাগ্যে জুটছে না বলে তাদের অভিযোগ করেন বাসিন্দা কল্পনা বেগম। ভূমিহীন ও নিঃস্ব লোকদের একটু মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দেবার জন্য সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। তবে আগৈলঝাড়ার আশ্রয়ন প্রকল্প ভূমিহীনদের জন্য কোন কাজেই আসছেনা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য একটি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু এর কোন কার্যক্রম নেই। এখানে নেই কোন বিদ্যুতের ব্যবস্থা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জাহানারা বেগম ও চায়না বেগম আক্ষেপ করে বলেন ২ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হওয়ায় কোন মেম্বার বা চেয়ারম্যানরা আমাদের সংবাদ নেয় না। তারা শুধু ভোটের সময় আমাদের কাছে আসে। এছাড়া কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করে না তারা।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঈদ বা পূজায় সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা দিলেও ২ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হওয়ায় আমাদের সব সময় সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। প্রতি বছর শুধু ১০ কেজি করে চাল পাই। এখানে বাসিন্দাদের জিম্মি করে বিভিন্ন সরকারের আমলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। প্রকল্পের বাসিন্দারা ভয়ে তাদের অপকর্মের কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন ওই সরকারের নেতৃস্থানীয় লোকজনই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্ন অবৈধ ও অনৈতিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

(টিবি/পিএস/জুলাই ১৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test