E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেল কুতুবদিয়ার অপহৃত ব্যবসায়ী মুছা

২০১৪ মে ২১ ০০:১৩:০৮
মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেল কুতুবদিয়ার অপহৃত ব্যবসায়ী মুছা

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুছা মুক্তিপণ দিয়ে ২৫ দিন পর মঙ্গলবার রাতে ছাড়া পেয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, মুছার পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজার শহরে অপহরণকারী চক্রের হাতে নগদ ১০ লাখ টাকার বুঝিয়ে দেয়ার পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফে ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে মুছার পরিবারের সদস্যদের দাবি তারা মুক্তিপণ দেয়নি। অপহরণকারীরা তাকে টেকনাফে ছেড়ে দেয়। পুলিশ উদ্ধারের বিষয়টি শুনেছেন বলে দাবি করলেও নিশ্চিত নন বলে জানান।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপহৃত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুছার ছোট ভাই আবু ওমর জানিয়েছেন, তার ভাইকে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফ স্টেশনে ছেড়ে দেয়া হয়। তারা টেকনাফ থেকে তার ভাইকে নিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাত্রা করেছেন। কক্সবাজার থেকে তারা কুতুবদিয়ায় ফিরে যাবেন।

কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, অপহৃত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুছাকে টেকনাফে ছেড়ে দিয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।

সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুছা (৪৫) কুতুবদিয়ার উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের সতর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকার মৃত মুহাম্মদ উল্লাহ পুত্র।

তিনি গত ২৬ এপ্রিল রাত ১১টায় কুতুবদিয়ার উপকূলের লেমশীখালী ইউনিয়নের সতর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বেঁড়িবাঁধ থেকে অপহরণ হয়। এর পর তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। এর সূত্র ধরে গত ১৫ মে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা এলাকার মৃত মো. বকসুর পুত্র আবুল কাশেমকে (৫৫) আটক করে কুতুবদিয়া থানার পুলিশ। ওই দিন কুতুবদিয়া থানা হাজতে আবুল কাশেম এর মৃত্যু হয়। ওই সময় পুলিশ দাবি করেছে আবুল কাশেম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে বৃদ্ধের পরিবারের দাবি পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।

প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সংস্থার তথ্য মতে, আবুল কাশেমের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। ওই সময় মোবাইল ট্যাকিং করে করে সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী বঙ্গোপসাগরের একটি পয়েন্টে অপহরণকারীর চক্রের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল সাগরের কোন একটি ট্রলারে অপহৃত ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে রাখা হয়। উদ্ধার প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় মুছার পরিবারের সদস্য অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের ১০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয়।

ওই সংস্থার তথ্য মতে, কক্সবাজার শহরে মঙ্গলবার দুপুরে এ মুক্তিপণের টাকা লেনদেন করা হয়। এর পর চক্রের সদস্যরা মুছার পরিবারের সদস্যদের গোপনে টেকনাফ চলে যেতে বলে। রাত ১০ টার দিকে টেকনাফ স্টেশন এলাকায় মুছাকে ছেড়ে দেয় তারা।

তবে মুছার ভাই আবু ওমর মুক্তিপণ দিয়ে তার ভাইকে ছাড়িয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিনা শর্তে তার ভাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু কার তথ্য মতে তারা টেকনাফ গিয়ে ছিলেন বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানাতে রাজী নন তিনি।

(টিটি/এইচআর/মে ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test