E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ, দুই পুলিশ আহত

২০১৫ জুলাই ২৫ ১৩:৫০:২৬
পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ, দুই পুলিশ আহত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের ব্রীজের পাশে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের হ্যাচারির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রামদা, দু’টি লোহার রড ও বিষ্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে।

গুলিবিদ্ধ মোঃ রুহুল আমীন গাজী (৩৬) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গরানবাড়িয়া গ্রামের আকবর গাজীর ছেলে।

সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএসবি) তথ্য কর্মকর্তা উপপরিদর্শক কামাল হোসেনের ভাষ্যমতে, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান ও শ্রমিকলীগ নেতা দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের ট্রাক চালক আলমগীর হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক আসামী উপজেলার গরানবাড়িয়া গ্রামের জামায়াত কর্মী রুহুল আমিন গাজী। তিনি দেবহাটার ঘোনাপাড়া গ্রামের ব্রীজের পার্শ্ববর্তী ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের হ্যাচারির পাশে তার সতীর্থদের নিয়ে বড় ধরণের নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে মর্মে পুলিশ খবর পায়। এরই ভিত্তিতে দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক মেজবাহউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই স্থানে অভিযান চালায়। জামায়াতের ওই সময় সক্রিয় কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি বোমা ও গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন পালিয়ে গেলেও রুহুল আমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংঘর্ষে দেবহাটার থানার পুলিশ সদস্য বিষ্ণুপদ সরকার ও সিরাজুল ইসলাম আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রামদা, দু’টি লোহার রড ও বিষ্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ রুহুল আমিনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দু’টি হত্যা মামলাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে গরানবেড়ে গ্রামের আনোয়ারা বেগম দাবি করেন, তার স্বামী একজন ঘের ব্যবসায়ি। গাজীরহাটে তার একটি মাছের ঘের আছে। শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে রুহুল আমীন দুই মেয়ে শিমুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন(১০) ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া খাতুনকে(৮) পড়াচ্ছিলেন। এ সময় দেবহাটা থানার সহকারি উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ রুহুল আমিনকে আটক করে। গাড়িতে তোলার সময় মারপিট করলে তিনি স্বামীকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকেও লাথি মেরে ফেলে দেয় পুলিশ। রাতের কোন এক সময়ে পুলিশ নির্জন কোন একস্থানে নিয়ে চোখে কালো কাপড় বেঁধে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে রুহুল আমিনের বাম পায়ের হাঁটুতে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে গুলি করেছে। তার স্বামীর বিরুদ্ধে আলমগীর হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি সহিংসতার মামলা রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এ ঘটনায় সহকারি উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে রুহুল আমীনকে প্রধান আসামী করে শনিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ পরিমল কুমার বিশ্বাস জানান, রুহুল আমীনকে শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল বা ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

(আরকে/এলপিবি/জুলাই ২৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test