E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় শতাধিক মোটরযান আটক,“মোটর সাইকেল সমবায় সমিতির”ছাড় !

২০১৫ জুলাই ২৫ ১৬:৩৭:২১
আগৈলঝাড়ায় শতাধিক মোটরযান আটক,“মোটর সাইকেল সমবায় সমিতির”ছাড় !

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শতাধিক অবৈধ মোটরযান আটক করে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সরকারী নির্দেশনার পর আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ জন সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় মাইকিংসহ ব্যপক প্রচারণা চালায়।

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মালিকেরা দীর্ঘ দিনেও তাদের মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন না করায় ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনে উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় রেজিষ্ট্রেশন বিহীন শতাধিক অবৈধ মোটর সাইকেল আটকও করে পুলিশ।

আটককৃত একাধিক মোটর সাইকেল মালিকেরা অভিযোগ করেছেন, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ব্যক্তি মালিকানার মোটর সাইকেলগুলো আটক করলেও উপজেলায় ভাড়ায় চালিত “মোটর সাইকেল সমবায় সমিতির” নামে অবৈধ পাঁচ শতাধিক মোটর সাইকেল রাস্তায় চলছে। যার ৯০ শতাংশরও বেশী মোটর যানের কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই।

ওসিকে মাসোহারা দেয়ার কারনে সেগুলো পুলিশ আটক করছে না। অভিযোগে তারা আরও বলেন- ওসির কারনে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানোর কারণে এলাকায় প্রায় প্রতি নিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এদিকে মোটর সাইকেল আটকের পরেও গত ১০ দিনে অন্তত ২৫/৩০টি মোটরসাইকেল অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দিয়েছেন ওসি।

নাম না প্রকাশের শর্তে মোটর সাইকেল সমবায় সমিতির দ্বায়িত্বশীল এক নেতা জানান, উপজেলা সদর, বাশাইল, বাটরা এলাকার প্রায় একশ মোটর সাইকেল তাদের সমিতির আওতাভুক্ত। তিনি স্বীকার করেন যে, তাদের অধিকাংশ সদস্যরই কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই।

এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মোটর সাইকেল চললেও সেগুলো তাদের সমিতিভুক্ত নয়। তারা তাদের সমিতিভুক্ত চালকদের বিশেষ তৈরী একটি পরিচয়পত্র দিয়েছেন। যা দেখালে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। সদস্যদের কাছ থেকে ১শ টাকা চাঁদা নেয়া হয়। তা দিয়ে পুলিশ ম্যানেজের কথাও স্বীকার করেন তিনি। ওই টাকা দিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতাকারীদের ম্যানেজ করে তারা রাস্তায় চলাচল করছেন।

তিনি স্বীকার করেন যে, তাদের অধিকাংশ সদস্যরই কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই। চালকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্যই মুলত তারা সমিতি করেছেন। সমিতির সভাপতি বাবুল শাহকে (০১৭৩৩১৩৬২৬৬) নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে জাতীয় মহা সড়কে চলাচলকারী পরিবহন মালিকেরা অভিযোগ করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি মহা সড়কে সকল প্রকার ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও বরিশাল-গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত চলছে ইজি বাইকগুলো।

১০ দিন মোটর সাইকেল আটকের পর বর্তমানে থানায় ২৫টি মোটর সাইকেল জমা থাকার কথা জানিয়েছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম।

মোটরসাইকেল সমিতির কাছ থেকে মাসোহারা নেয়ার অভিযোগ অস্বকার করে তিনি আরও বলেন, আটকের পর বাকী ৭৫টি মোটর সাইলের বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে এবং আটককৃত মোটর সাকেলের মালিকেরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিআই)তে রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা জমা দিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে গেছেন মালিকেরা।

(টিবি/এসসি/জুলাই ২৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test