E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ডাক্তার শূন্য

২০১৪ মে ২১ ১৪:৪২:৫৯
মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ডাক্তার শূন্য

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা ৫০শয্যার হাসপাতালটি এখন ডাক্তার শূন্য। বিভিন্ন করণে এক-এক করে ডাক্তার বদলী হওয়ায় এ শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার পর্যন্ত একজন মেডিকেল অফিসার ছিলেন এখানে। সোমবার থেকে তাও নেই। এখন আছেন শুধু প্রশাসনিক দায় বহনকারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন মোহাম্মদ ইউসুফ। এ অবস্থায় ব্যাপক জনগোষ্ঠীর এ উপজেলা হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা ধরে রেখেছেন এখানের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ অন্যান্যরা।

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে ,ডাক্তার শূন্য মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার বাস্তব দৃশ্য। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ৩১ শয্যার মধ্যে ৪১জন রোগী ভর্তি আছে। এদের মধ্যে ১৫জন রয়েছে অপারেশনের রোগী। পার্শ্ববর্তী জিয়ানগর উপজেলার অনেক রোগীও এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি থাকা এসব রোগীদের জরুরী প্রয়োজনে কোন ডাকারের সেবা মিলছে না। জরুরী বিভাগে সাধারণ ছেড়া কাটা রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে হারুণ শেখ নামে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে। তিনিই আপাতত জরুরী ভিাগের সার্বক্ষনিক ভরসা বলে জানা গেছে।
প্রায় ৪লাখ জনবসতির এ উপজেলা হাসপাতালটির জনবল সংকট এবং রোগীদের ভোগান্তি বিগত দিনের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাসহ এখানে মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট, ডেন্টাল সার্জন ও সহকারী সার্জনের ২৪টি মঞ্জুরীকৃত পদ থাকলেও এখন আছেন মাত্র ১জন। তিনি ও আবার প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এ ছাড়াও ৩৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে বহুদিন ধরে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন মোহাম্মদ ইউসুফ বাগেরহাট জেলা সদরে মিটিংয়ে অংশ গ্রহনের জন্য মোরেলগঞ্জ হাসপাতাল ত্যাগ করলেও গতকাল পর্যান্ত কর্মস্থলে যাননি। সেকারনে সারাদিনে কোন ডাক্তারই ছিলনা হাসপাতালটিতে । এর আগে ৩দিনের প্রশিক্ষনে চলে গেছেন এ হাসপাতালের একমাত্র মেডিকেল অফিসার ডা. কামাল হোসেন মুফতি। তিনি একাই দীর্ঘ এক মাসের অধীক সময় ধরে দিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসা সেবা। জরুরী বিভাগ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, আউটডোর, ইনডোর সবই তিনি একা সামলাবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার দায়িত্ব ও অধীকাংশ সময় ডা. কামাল হোসেন মুফতিকে পালন করতে হয়।
৩১ শয্যার এ হাসপাতালটিকে ২০১২সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও তা সীমাবদ্ধ রয়েছে ভবন নির্মান ও কাগজপত্রের মধ্যেই। বাস্তবে ৫০শয্যা তো দুরের কথা ৩১শয্যার সেকেলে সেই সেবাটুকুও পাচ্ছে না এ এলাকার গরিব, মধ্যবিত্ত্ব ও দায়গ্রস্ত মানুষেরা। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মো. বাকির হোসেন জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবল সংকটের কথা জানানো হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

(একে/এএস/মে ২১, ২০১৪)


পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test