E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়া প্রাণী সম্পদ কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রর ভগ্নদশা

২০১৫ জুলাই ২৯ ১৮:২৬:৪৮
আগৈলঝাড়া প্রাণী সম্পদ কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রর ভগ্নদশা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ার প্রাণী সম্পদের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রটি ভেঙ্গে পরায় অন্যের ঘরে কাজ করতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। এব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা নেই।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬১ সাল থেকে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা নামকস্থানে সরকারিভাবে একটি পরিত্যক্ত দ্বিতল ভবনে প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর বরিশালের এ কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রটি। প্রায় ৪ যুগ ধরে পুরাতন ভবনটি সরকার কর্র্তৃক লিজ গ্রহণ করে প্রজনন কেন্দ্রটির কাজ চলে আসছে। অদ্যাবধি ওই ভবনটিতে কখনই কোন ধরণের মেরামত বা সংস্কারের কাজ করা হয়নি। অনেক আগে থেকেই ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে কোন নজর দেয়নি। ভবনের উপরে ও দেয়ালে নানা ধরণের গাছপালা জন্মে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

প্রতিনিয়ত ছাদ ধসে সুরকি ও ইট পরে যাচ্ছে। অনেক সময় কর্মকর্তাদের গায়েও এই ইটের ভগ্নাংশ পরে আহত হয়েছেন তারা। ফলে তারা ভবনটি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এ উপজেলায় প্রাণী সম্পদের চিকিৎসার আর কোন কেন্দ্র নেই। ফরে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে গবাদিপশু নিয়ে লোকজন এসে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে এফএএআই মো. নুরউদ্দিন জানান, এই কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভবনটি বর্তমানে ভেঙ্গে পরেছে। ভবনটির পাশ দিয়ে গৈলা বাজারে যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আতংকের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। ভবনটি ভেঙ্গে পরার পরে পার্শ্ববর্তী জৈন উদ্দিনের ঘরে অস্থায়ীভাবে অফিস করা হচ্ছে। ভবনটি সংস্কারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫-৩০ বার আবেদন করার পরেও কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি তারা। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রটির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ একর ৩২ শতাংশ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা দখল করে নেয়ায় বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশে। উপজেলার একমাত্র কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রটি পুনঃনির্মাণ ও সম্পত্তি দখলমুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে এলাকার জনসাধারণ।

(টিবি/এএস/জুলাই ২৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test