পিতৃত্ব অস্বীকার করে সন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের এক পাষন্ড স্বামী  কিশোরীকে কৌশলে ধর্ষণ করে বিয়ের পর সন্তানের পিতৃ পরিচয় অস্বীকার করে সন্তানসহ স্ত্রীকে তাড়িয়ে দিয়েছে । এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের মানসিক রোগী বিপুল চন্দ্র সরকারের ৬ষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী কিশোরী লিপি রানী (১৪) একই গ্রামে অসুস্থ চাচাতো বোন বন্যা রানী ও তার স্বামীর সেবা যত্ন করার জন্য এক বছর পূর্বে তাদের বাড়িতে যায়।

বন্যা রানীর দেবর শ্যামল চন্দ্র মন্ডল লিপি রানীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। এতে লিপি রানী গর্ভবতী হলে পড়লে শ্যামল চন্দ্র মন্ডলের পরিবারের সদস্যরা নানাবিধ হুমকি ধামকি প্রদান করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে কাজ না হওয়ায় গত ১৩ মে নোটারী পাবলিকে এফিডেভিট মূলে এবং হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী শ্যামল চন্দ্র মন্ডল লিপি রানীকে বিবাহ করে।

বিবাহের পর গত ১৮ জুন লিপির সন্তান ভূমিষ্ট হয়। সন্তান জন্মের পর শ্যামল সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। ১০ জুলাই লিপি রানীকে শ্যামল ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। লিপির পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে লিপি রানীর কাকা নির্মল চন্দ্র সরকার বলেন, নিষ্পাপ কিশোরী লিপিকে শ্যামল ও তার পরিবারের সদস্যরা অন্যায় ভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। দরিদ্র পবিবারের সন্তান লিপি রানী এই অবুঝ শিশুকে নিয়ে পড়েছে বিপাকে। একদিকে শিশুটি যেমন পাচ্ছে না তার পিতৃ পরিচয় তেমনি লিপি পাচ্ছেন না জীবনের নিরাপত্তা। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

(এসআরডি/এসএফকে/আগস্ট ০৩, ২০১৫)