E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় এখনও মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পায়নি ১৪ শহীদ

২০১৫ আগস্ট ১৪ ১৮:৫৫:৫৬
নওগাঁয় এখনও মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পায়নি ১৪ শহীদ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কুলফতপুরে একাত্তর সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীনতাকামী ১৪ জন নিরীহ কৃষককে গুলি করে হত্যা করে পাকি- হানাদার বাহিনী। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পায়নি তাঁরা। ওই ১৪ জন শহীদকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মর্যাদা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার বিকেলে কুলফতপুর শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নওগাঁ একুশে উদযাপন পরিষদের যৌথ আয়োজনে কুলফতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি।

লেখক ও গবেষক অধ্যাপক আতাউল হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সাপাহার মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের কমান্ডার আলতাফুল হক চৌধুরী, একুশে উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারী, সাধারণ সম্পাদক মেহমুদ মোস্তফা রাসেল, ধামইরহাট এমএম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ আগষ্ট এই দিনে ধামইরহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী কুলফতপুর গ্রামে পাকি হানাদার বাহিনী ১৮ জন কৃষককে লাইন করে ব্রাশ ফায়ার করে। সেখানে ১৪ জন কৃষক প্রাণ হারান। শহীদরা হলেন, তজোমুদ্দীন, বিজুমুদ্দীন, আব্বাস আলী, রহিম উদ্দীন, ফয়জুল ইসলাম,আফতাব উদ্দীন, তায়েজ উদ্দীন, ছয়েফ উদ্দীন, কছিমুদ্দীন, আমজাদ হোসেন, চানমুদ্দীন, অবির উদ্দীন, মতিবুল ইসলাম ও আবেদ আলী। ঘটনাক্রমে এদের মধ্যে চারজন বেঁচে যান। হানদাররা চলে গেলে গ্রামবাসীরা এর মধ্যে ১২ জন শহীদকে কালাহারের পুকুর পাড়ে কবর দেন। অন্য দুইজন শহীদকে গ্রামের উত্তর পাড়ায় কবর দেয়া হয়।

এদিকে আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের ১৪ আগষ্ট প্রাণ হারানো শহীদ আমজাদ হোসেনের ছেলে উমার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাজমুল হক বলেন, আমি তো বাবাকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু তিনি যেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের মর্যাদা পান, এইটুকু চাই। স্বাধীনতার পর অনেক সরকারই ক্ষমতায় এসেছে।

সব আমলেই বাবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আবেদন তদবির করেছি। কিন্তু কেউ চোখ তুলে তাকাচ্ছে না। শহীদ পরিবারের সন্তান চান মদ্দিন, ফেরদাউস হোসেন ও মনোয়ারা বেগম সভায় শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ও গণকবরটি সংরক্ষণের দাবি জানান।

হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, গণকবরটি সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রেীয়ভাবে প্রকল্পের অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা চলছে। আমার তত্ত্বাবধানে কয়েক বছর এখানে শহীদদের স্মৃতিফলক করা হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই গণকবরটি সংরক্ষণের জন্য প্রকল্পও পেয়ে যাব। আলোচনা শেষে শহদীদদের স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

(বিএম/এএস/আগস্ট ১৪, ২০১৫)



পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test