E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২০ আগষ্ট উদ্বোধন হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত 'শেখ রাসেল সেতু'

২০১৫ আগস্ট ১৭ ১২:৫৬:১৩
২০ আগষ্ট উদ্বোধন হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত 'শেখ রাসেল সেতু'

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উদ্বোধন হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাঙ্খিত কুয়াকাটাগামী শিববাড়িয়া নদীর উপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতু।

আগামী ২০ আগষ্ট সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই সেতু উদ্বোধন হলে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা পর্যটকরা সীমাহীন ফেরি দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

সওজ অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ ফেব্রুয়ারি দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ হলেও ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর ২৪ কোটি ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মান কাজ শুরু হয়। চারশ নয় মিটার দীর্ঘ সেতুর প্রস্থ্য ফুটপথসহ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের ৬৬তম অংশে শিববাড়িয়া নদীর উপর নয়টি স্পামের উপর সেতুটি নির্মান করা হয়। প্রথমে সেতুর দক্ষিণ দিকের আলীপুর অংশে এ্যাপ্রোচ সড়ক ৩২০ মিটার ও উত্তর দিকে মহীপুর অংশে এ্যাপ্রোচ সড়ক ১৩০ মিটার থাকলেও পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি করে আলীপুর অংশে ৪৫০ মিটার ও মহীপুর অংশে ২৯৮ মিটার করা হয়। কয়েক দফায় সেতু নির্মানে আরও ৬০/৭০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। যা এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ৩৬ মাসে সেতুটি নির্মানের কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় সেতুর নির্মান কাজ আটকে যায়। পরবর্তীতে জটিলতা কাটিয়ে কাজ শেষ হওয়ায় সেতুর নির্মান কাজ শুরু ছয় বছরের মাথায় উদ্বোধন হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ছোট ছেলে শেখ রাসেল এর নামে রাখা সেতুটি। কুয়াকাটাগামী শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতুর কাজও এখন শেষ পর্যায়ে। আগামী ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হতে পারে শেখ কামাল সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি এখন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত। এ্যাপ্রোচ সড়কসহ সেতুর রং করার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু রাতে চলাচলের জন্য সেতুতে কোন আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি। সেতুর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পরই শেখ রাসেল সেতু এখন কুয়াকাটার নতুন পর্যটন স্পটে পরিনত হয়েছে। সেতুর নিচে বহমান শিববাড়িয়া নদী। এ নদী দিয়েই মাছ শিকারে সাগরে যায় হাজার হাজার ট্রলার। যেকোন দূর্যোগে এই নদীতেই আশ্রয় নেয় ওই ট্রলার। তখন গোটা নদী ভরে যায়। এই দৃশ্য উপভোগ করতে পর্যটকরা ভীড় করে এই সেতুর উপর।

আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উৎসবের দিন হবে ২০ আগষ্ট। কারণ এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ীদের আর ফেরি দূর্ভোগ পোহাতে হবে না।

কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসার শেষ বাঁধা ছিলো শিববাড়িয়া নদীর ফেরি। শেখ রাসেল সেতু উদ্ধোধন হলে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা পর্যটকদের আর দূর্ভোগ পোহাতে হবে না।

সেতু নির্মান কাজ তদারকি কর্মকর্তা ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির পান্না জানান, এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ২০ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। এরপর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তিনি জানান, সেতুর দরপত্রে লাইট লাগানোর কন্ডিশন নেই। তাই আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে এই সেতু নির্মান কাজে কতো টাকা ব্যয় হয়েছে তিনি স্পষ্ট বলতে না পারলেও জানান সিডিউলে উল্লেখিত টাকা ছাড়ারও আরও ৬০/৭০ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

(এমকেআর/এলপিবি/আগস্ট ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test