E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরনদীতে দু’যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা

২০১৫ আগস্ট ১৭ ১৮:০০:০০
গৌরনদীতে দু’যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরধরে জেলার গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী নামক স্থানের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রোববার রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে দু’যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আশংকাজনক অবস্থায় আহতদের রাত দশটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিক শেবাচিম হাসপাতালে ছুঁটে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি আহত যুবলীগ নেতাদের সু-চিৎকিসা দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। 

আহতরা হলেন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি কালিয়া দমন গুহের ছোট ছেলে ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টু এবং যুবলীগ নেতা মাসুদ সরদার।

জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই দু’যুবলীগ নেতা হাসপাতালের সামনের একটি চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মুহুর্তের মধ্যে আশোকাঠী বাসষ্ট্যান্ডের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী ও তাৎক্ষনিক আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত যুবলীগ নেতা মাসুদ সরদার জানান, স্থানীয় কথিত ছাত্রলীগ ক্যাডার জিয়া হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০/১২জন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলু অভিযোগ করেন, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারিছুর রহমানের সাথে তাদের পূর্ব বিরোধের জেরধরে তার সহযোগী জিয়াসহ অন্যান্য ক্যাডররা পিন্টু ও মাসুদকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, ঘটনার পর হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ ঠিকাদারী কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে মাহিলাড়া ইউনিয়নের পরিষদে পৌর মেয়রের উপস্থিতিতে হামলা ও ভাংচুর হয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে পৌর মেয়র ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধ চলে আসছে।



(কেএনআই/এসসি/আগষ্ট ১৭,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test