E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস বন্ধ

২০১৫ আগস্ট ২১ ১২:৩১:৪৬
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস বন্ধ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :নাব্য সংকটে শিমুলিয়া (মাওয়া)-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে শুক্রবার সকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের অপেক্ষা করা হচ্ছে। এতে উভয় পাড়ে ৫ শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি সার্ভিসে বিপর্যয় চলছে গত প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে। বৃহস্পতিবারও ১০টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা পুরো ফেরি সার্ভিসই বন্ধ ছিল। এতে দক্ষিাণঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দুর্গতি বেড়েছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে।

এদিকে নাব্য সংকটরোধে ড্রেজিং করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই উটপুট পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ফেরি চলার জন্য চ্যানেলে পানির গভীরতা প্রয়োজন সাড়ে ৭ ফুট। কিন্তু পানির গভীরতা এখন সর্বনিম্ন সোয়া ৬ ফুট।

রাত দেড়টায় সর্বশেষ শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি কেতকী গন্তব্যে পৌছতে পেরেছে। এর আগে ফরিদপুরও গন্তব্যে পৌঁছায়। তবে লৌহজং টানিং থেকে রাতে ফিরে আসে ফেরি ক্যামেলিয়া ও রায়পুরা। এরপরই চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির মাওয়াস্থ সহকারী ম্যানেজার শেখর চন্দ্র রায় জানান, নাব্যতা সংকটের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৪টি রো রো ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। আর চলাচল করছিল মাঝারী ও ছোট বাকী ১৪টি ফেরি এখন তাও বন্ধ। তাই দক্ষিাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমলিয়ায় মানুষের দুভোর্গ বেড়েছে।


বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার মো শাহজাহান জানান, সাধারণত রো রো ফেরি চলাচলের জন্য সর্বনিম্ন পানির প্রয়োজন সাড়ে ৭ ফুট । কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের সময় পদ্মার লৌহজং টানিং পয়েন্টের ওই এলাকায় প্রায় এক শ’ ফুট এলাকা জুড়ে পানি এখন সর্বনিম্ন সোয়া ৬ ফুট। 'কে' টাইপ ফেরিগুলো পদ্মার ডুবো চরে ঠেকে ঠেকে চলছিল এখন তাও বন্ধ। এতে ফেরির প্রপেলারসহ ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র উপ পরিচালক এসএম আজগর আলী জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকট দূর করতে গত ঈদের দুই দিন পর হতে পদ্মা নদীর লৌহজং টানিং পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং করে চলেছে। বর্তমানে সেখানে তিনটি ড্রেজার মাটি কেটে চ্যানেলে পানির গভীতা বৃদ্ধি করতে ন্যাস্ত রয়েছে। কিন্তু পদ্মায় স্রোতের সাথে পলি এসে খননকৃত চ্যানেলগুলো আবারো ভরে যাচ্ছে। এতে ড্রেজিং কাজ করে আগাতে পারছে না।



(ওএস/এসসি/আগষ্ট২১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test