E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধর্ষিতা শারমিনের অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি

২০১৫ আগস্ট ২৩ ১৬:২৯:১২
ধর্ষিতা শারমিনের অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি

বরিশাল প্রতিনিধি: ধর্ষণের ফলে অন্তস্বত্বা শারমিন অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে মামলা করেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

এজাহার ও বিচারপ্রার্থী শারমিন জানায়, বরিশালের আগৈলঝাড়ার পয়সার হাট গ্রামের ইউসুফ সিকাদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম জয় ঢাকার শাহবাগ থানার আনন্দ বাজার এলাকায় ৯/৫ সেক্রেটারিয়ের রোডে শিকদার গ্লাস হাউজ নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।

সেখানে জহিরুল ইসলাম জয় একই এলাকার শিল্পী বেগমের মেসে খাবার খেত। যাতায়াতের সুবাদে পাশের নুর ইসলামের স্ত্রী মেস মালিক ঝর্না বেগমের মেয়ে শারমিনের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ১৮ জুন শারমিনকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে জহিরুলের দোকানের ভ্যান চালক জাহিদের কামরাঙ্গির চরের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কৌশলে পর দিন শারমিনকে নিয়ে মিরপুর-১ এলাকার আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন একটি বাসায় ১২ দিন আটক রেখে শারমিনকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে শারমিন অসুস্থ হয়ে পরে। এসময় শারমিন তাকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করলে জহিরুল সু-কৌশলে বিয়ের জন্য কাজী অফিসে যাবার কথা বলে রিক্সায় উঠে মাঝ পথে গিয়ে শারমিনকে রিক্সায় রেখে সটকে পড়ে।

এক পর্যায়ে শারমিন তার মা ঝর্না বেগমকে ঘটনা খুলে বলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ধর্ষনের ফলে শারমিন অন্তস্বত্বা হয়ে পরে। শারমিনের মা ধর্ষক জহিরুলের দোকানে গিয়ে তার বাবা ইউসুফ সিকদারের কাছে ঘটনা জানিয়ে জহিরুলের সাথে শারমিনের বিয়ের দাবি জানান।

জহিরুলের বাবা ইউসুফ সিকদার বিচার প্রার্থী মা ও মেয়েকে তার ভাড়াটে লোকজন দিয়ে মারধর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কমিশনার রোকসানা ইসলাম চামেলীর কাছে অভিযোগ দিলেও তিনিও কোন সুরাহা করতে পারেননি। পরে নিরূপায় হয়ে ২ আগষ্ট শাহবাগ থানায় শারমিন বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে জহিরুলকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২/২৯৪।

এদিকে রিক্সা থেকে সটকে পরার পর জহিরুল ফোন বন্ধ রেখে লাপাত্তা হয়ে নিজ এলাকায় আত্মগোপন করে। খবর পেয়ে রবিবার শারমিন জহিরুলের খোঁজে বরিশালের আগৈলঝাড়া পয়সারহাট গ্রামে আসে। শারমিনের অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে সংশ্লিষ্ট বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস, সদস্য হেমায়েত সিকদার, পলি বেগমসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দেয়। জহিরুল স্থানীয় প্রভাবশালী সিকদার বংশের হওয়ায় এলাকায় কোন লোক বিচারে এগিয়ে না আসায় ব্যর্থ হয়ে ঢাকা ফিরে গেছেন।

(টিবি/এলপিবি/আগস্ট ২৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test