E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সোহবার সর্দারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, মৃত্যুর ৩৭ দিন পর মামলা

২০১৫ আগস্ট ২৬ ১৯:১৪:০৭
সোহবার সর্দারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, মৃত্যুর ৩৭ দিন পর মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আমান সিমেন্ট মিলের কর্মচারী শফিকুল ইসলামের (২০) মৃত্যুর ৩৭ দিন পর থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শফিকুলের মা কোহিনুর বেওয়া বাদি হয়ে স্থানীয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী সোহরাব সর্দারসহ মোট ১৩ জনকে আসামী করা মামলাটি দায়ের করেছেন।

গত ১৮ জুলাই উল্লাপাড়া থানা পুলিশ উল্লাপাড়া ডিগ্রী কলেজের পাশের পুকুর থেকে শফিকুলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। শফিকুল উল্লাপাড়া উপজেলার নয়ানগাঁতী গ্রামের মৃত সমাজ প্রামানিকের ছেলে। কোহিনুর বেগম গত ২০ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার সিরাজগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলাটি গ্রহণের আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার ২৫ আগষ্ট উল্লাপাড়া থানা মামলাটি রেকর্ড করেছে।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে সোহরাব সর্দারের নির্দেশে মামলার উল্লেখিত আসামি আসাদুল, ফারুক, কাদের, বছির সর্দার, সুজন প্রমুখ ব্যক্তিরা শফিকুল ইসলামকে গত ১৭ জুলাই রাতে উক্ত মিল গেট থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার মুখে গামছা পেঁচিয়ে কথিত পুকুরে তাকে ডুবিয়ে হত্যা করে।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর নাম উল্লেখ করে উল্লাপাড়া পৌরশহরে সোহরাব সর্দারের ছবি দিয়ে শফিকুল খুনের প্রধান আসামী হিসেবে সোহরাবের ফাঁসির দাবি জানিয়ে প্রচুর পোষ্টার সাঁটানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কথিত খুনের মামলার প্রধান আসামী সোহরাব সর্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করে বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসানোর জন্য বাদিকে প্ররোচিত করে এই মামলা দায়ের করিয়েছেন। তিনি শফিকুলের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে কোন ভাবেই জড়িত নন।

এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল হুদা জানান, গত ১৮ জুলাই শফিকুলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় এবং এদিন থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়। শফিকুলের ময়না তদন্তের রিপোর্টে সে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে শফিকুলের মা কোহিনুর বেওয়া সাংবাদিকদের জানান, শফিকুল সাতার জানতো তাই সে পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে না। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোহরাব সর্দারের বিরুদ্ধে একটি মন্দিরের জায়গা দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

(এসএস/পি/অাগস্ট ২৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test