E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে ছেড়ে দেয়ায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড্

২০১৫ আগস্ট ২৮ ১৮:০৮:০২
মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে ছেড়ে দেয়ায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড্

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সীমান্তবর্তী এলাকা পতœীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকসেবীসহ চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। ইতোপূর্বে প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব মাদকসেবীদের শাস্তির আওতায় আনলেও বর্তমানে তা বন্ধ থাকার কারনে মাদক ব্যবসায়ীরাসহ মাদক সেবীরা এই এলাকাকে নিারপদ স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছে। এদিকে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে ছেড়ে দেয়ায় গত ২০ আগষ্ট পতœীতলা থানার এসআই মাকছুদুর রহমান ও এএসআই জুলফিকারকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, পত্নীতলা, সাপাহার ও ধামইরহাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা মাদক দ্রব্য হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, প্যাথেডিন, গাঁজাসহ ভারতীয় মদ পতœীতলার বিভিন্ন এলাকায় চোরাকারবারীরা মজুদ গড়ে তোলায় নওগাঁ, মহাদেবপুর, বদলগাছীসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক সেবীরা পতœীতলায় এস ভিড় জমায়। এসব মাদক সেবীরা দৈনন্দিন মটরসাইকেল যোগে পতœীতলার মাটিন্দর, শিবপুর বাজার, মধইল বাজার, কৃষ্ণপুর ইউপির চক মমিন ডাঙ্গাপাড়া, পতœীতলা বাজার, কাশিপুর, বাগুড়িয়া ছালিগ্রাম, গগনপুর বাজার, কাঁটাবাড়ি কাঞ্চন মালোপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনে-রাতে ছুটছে মাদক সেবনের জন্য। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব এলাকায় মটরসাইকেল যোগে আসা মাদক সেবীদের সরগরমে স্থানীয় সাধারন মানুষের চলা ফেরা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এসব মাদকসেবীরা অধিকাংশই সম্ভ্রান্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান। এরা অনেকেই নিজে মাদক সেবন করে এবং বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে মাদক সরবরাহ করে নিজের আয়ের পথ বেছে নিয়ে থাকে। এসব সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেরা অনেকেই নানা কৌশল অবলম্বন করে মটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সেজে অথবা পল্লী চিকিৎসক সেজে মাদক ব্যবসা ও সেবন করে চলেছে বলেও জানাগেছে। বর্তমানে এসব মাদক সেবীদের অবাধ চলাফেরা চোখে পড়লেও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া নজিপুর পৌরসভা সদরের মাহমুদপুর ভূতপাড়া, হরিরামপুর, পুঁইয়া, পলিপাড়া, চকনিরখীন (ঠুকনিপাড়া মোড়), সিএন্ডবির পাশেসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা জমে তুলেছে মাদক ব্যসায়ীরা। মাদক সেবীরা এসব চোলাই মদ খেয়ে প্রকাশ্যে মাতলামি করার অভিযোগও রয়েছে। অপরদিকে চোরাই পথে আসা এবং উপজেলা সদরের বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে পাওয়া নেশা হিসাবে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন এ্যাম্পোল গুলোকে যুব সম্প্রদায় নেশার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হিসাবে বেছে নিয়েছে। এসব মাদক সেবীরা সহজ ভাবে শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহন করছে। মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের স্ব-স্ব স্থান থেকে প্রতিদিন নওগাঁ, মহাদেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বানের পানির মত ভেসে আসা মাদকসেবীদের মাদক সরবরাহ করেও উদ্বৃত্ত মাদক দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে চলেছে। প্রকাশ্যে এসব মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সাধারণ মানুষ দেখতে পেলেও থানা পুলিশ তাদের নাকি দেখতেই পায়না।

(বিএম/এসসি/অঅগস্ট২৮,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test