E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় বাবলু কাজী হত্যাকারিদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ২০:৩৯:১৪
লোহাগড়ায় বাবলু কাজী হত্যাকারিদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউপি’র কুমারডাঙ্গা গ্রামের চাঞ্চল্যকর দিন মজুর বাবলু কাজী হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের গ্রেফতার ও দৃস্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমারডাঙ্গা গ্রামের ফসিয়ার ফকিরের স্ত্রী রোমেছা বেগম।

লিখিত বক্তব্যে রোমেছা বেগম বলেন, বিগত ২০১৩ সালে লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউপি’র ডিগ্রীর চর গ্রামের নজরুল কাজীর ছেলে দিন মজুর বাবলু কাজী (২৭)র সাথে পার্শ্ববর্তী কুমারডাঙ্গা গ্রামের শাম ফকিরের মেয়ে আদুরী বেগম (২০) এর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বাবলু কাজী স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে লোহাগড়া পৌর শহরের সিংগা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। অভাব-অনটনের কারনে বাবলুর স্ত্রী আদুরী বেগম তার সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়ি বেড়াতে যান। বাবলু কাজী তার স্ত্রী-সন্তানকে আনার জন্য গত ৮ আগস্ট কুমারডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়ীতে থাকা নিয়ে বাবলুর সাথে শ্বশুর শাম ফকির, বড় মামা লিটু শেখ, মামাতো ভাই রকেট শেখ, ছোট মামা মিথিয়ার শেখ, স্ত্রী আদরী বেগম, শ্যালক সোহাগ ফকির, শ্বাশুড়ি রেখা বেগম ও নানি শ্বাশুড়ি তসি বেগমের সাথে ঝগড়া-ঝাটি হয়। এই বিরোধের জের ধরে ৯ আগস্ট রোববার ভোরের দিকে উল্লেখিত অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজগে বাবুল কাজী (২৭)’র অন্ডকোষ চেপে কৌশলে হত্যা করে। পরে তাকে (নিহত বাবলু) মৃত জহর সরদারের পরিত্যক্ত বাড়ির রান্না ঘরের আড়ায় (বাঁশের খুটি) ঝুলিয়ে রেখে বাবুল আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালেরর মর্গে প্রেরণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফসিয়ার ফকিরের স্ত্রী রোমেছা বেগম আরও অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক ঝগড়া-ঝাটির কারণে বাবলুর মৃত্যু হলেও ওই গ্রামের লিটু শেখের মদদে নিহত বাবলুর পিতা নজরুল কাজী বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২, তারিখ ১১/০৮/১৫ইং।

মামলায় গ্রাম্য কোন্দলের কারনে পিন্টু ফকির, আরোজ, আজিম ও ফসিয়ারকে হয়রানী করার জন্য আসামী করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে বাবলু কাজী হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের আটক ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ন চক্রবর্তী, আলামিন ফকির, নার্গিস বেগম, রানু বেগম, ডলি বেগম, রুপালী বেগম, সামিরন বেগম, পারুল বেগম।

(আরএম/এসসি/সেপ্টেম্বর ০৫,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test