E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বেহাল সড়ক নাকাল এলাকাবাসী

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ১৬:৩১:৪৬
বেহাল সড়ক নাকাল এলাকাবাসী

লক্ষ্মীপুর (রায়পুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বেহাল সড়কগুলো জনসাধারণের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই চলাচল অনুপযোগী রাস্তাগোলোতে এখন তৈরি হয়েছে হাজার হাজার ছোট-বড় গর্ত। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে পথযাত্রীদের অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহানোর পাশাপাশি নিত্য বাড়ছে দূর্ঘটনা। ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

সরেজমিন দেখা গেছে, রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়ক এখন সবচেয়ে বেশি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সড়কের ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রায় পুরো অংশ চলাচলের অনুপযোগী পড়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে হায়দরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত অংশই বেশি শোচনীয়। রাস্তার অধিকাংশ ¯’ান খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ভযংকর বড় বড় গর্ত। এ সড়ক দিয়ে জন প্রতিনিধিরা যাতায়াতের সময় এলাকাবাসী রোষানলে পড়তে হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ৬ মাস আগে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ১৫ কিলোমিটার সড়ক ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করা হয়। ওই কাজটি পান কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকার ঠিকাদার জনৈক পাখি। তিনি রাস্তা নির্মামের এক মাসের মাথায় ওই সড়কটির বহুস্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়। গত জুন মাসে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্যা সড়কের ২ কিলোমিটার সংস্কারের ১৮ লক্ষ টাকার কাজ পান ঠিকাদার ও বিএনপি নেতা ভূঁইয়া কামাল রায়হান। ওই সড়কটিরও বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রায়পুর পৌরসভা, এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের রাস্তা মেরামত ও তৈরি কাজে শুরুতেই গলদ থাকায় তা সংস্কারের ২/৩ মাসের মধ্যেই ভেঙেচুড়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। মেরামত কাজের সময় সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগের যথাযথ তদারকির অভাব ও বিশেষ কমিশন বাণিজ্যের কারণে সড়কগুলোতে নিম্নমানের কাজ করা হয়। টেন্ডার হলে একজন ঠিকাদার সে কাজ পেলেও তা ৫/৬ দফায় বিক্রি হতে হতে সর্বশেষ যিনি কিনে নেন তিনি কোনোমতে কাজ করেই নিজের ষোলআনা বুঝে নিতে যান। এ কারণে মোট বরাদ্ধের ৫০ ভাগ কাজও ঠিকমতো হয়না।

নাম প্রকাশে এক ঠিকাদার জানান, ভাইরে ঘাটে ঘাটে টাকা দিলে রাস্তার কাজ কিভাবে ভালো হবে?

দেবীপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাহবুব আলম চৌধুরী ও আদর্শ শিশু নিকেতনের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি মেরামতের জন্য এমপি ও চেয়ারম্যানকে বললেও তারা কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।

অটোরিক্সা চালক ইব্রাহীম বলেন, সাধারণ মানুষ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় ক্ষমতাসীন নেতাদের উদ্দেশ্যে ভোড় চৈতাল বলে।

রায়পুর পৌরসভার মেয়র এবিএম জিলানী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এটিএম সাদেক বলেন, পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। সংস্কার কাজে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে সে কাজগুলো স্থগিত রাখা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কোন বরাদ্ধ না পাওয়ায় সড়কগুলো মেরামত বা সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা সড়কের বিষয়ে জানালেও কিছুই করা যাচ্ছে না। তারপরও হায়দরগঞ্জ সড়কটি ইট-বালু দিয়ে সাময়িক মেরামত করে দেয়া হয়েছে।

(পিকেআর/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test