E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাপাহার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কড়া নজরদারী

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৬:৫২:৩২
সাপাহার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কড়া নজরদারী

নওগাঁ প্রতিনিধি : আর কয়েক সপ্তাহ পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। অন্যান্য বছরের তুলনায় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে এবার নওগাঁর সকল সীমান্তে ভারত থেকে চোরাইপথে গরু আমদানী অনেকটাই কমে গেছে। ঝিমিয়ে পড়েছে এখানকার গরু চোরাকারবারীরা।

গতবছর কোরবানীর ঈদে সীমান্ত দিয়ে পালে পালে গরু দেশে প্রবেশ করলেও এবছর একই সময়ে চোখে পড়ছে ভিন্ন চিত্র। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কঠোর নজরদারীতে বর্তমানে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা অনেকটাই বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। এর পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চোরাইপথে ভারত থেকে গরু আনতে গিয়ে গত ৩ মাসে সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৪/৫জন গরুব্যবসায়ীকে সীমান্তে জীবন দিতে হয়েছে। কোরবানীর ঈদে পশুর ব্যবস্যায় অধিক লাভের আসায় বিএসএফ-বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে অনেকেই কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করে এখনও সীমান্ত দিয়ে দু’চারটি গরু চোরাই পথে আমদানী করছে বলে জানা গেছে।

গত এক সপ্তাহে পোরশা, সাপাহার, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে আসা মোট ৮৭টি গরু ও ৫টি মহিষের করিডোর হয়েছে বলে সাপাহার শুল্ক করিডোর অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে আসা অধিকাংশ গরু মহিষের করিডোর না করিয়ে চোরাকারবারীরা চোরাই ভাবে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি করছে বলেও জানা গেছে।

বর্তমানে পোরশা উপজেলার নিতপুর, সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া, কলমুডাঙ্গা, আদাতলা, পাতাড়ী, বামনপাড়া, সুন্দরইল, সোনাডাঙ্গা ও খঞ্জনপুর, পত্নীতলা উপজেলার হাটশাওলী, রাধানগর, শীতলমাঠ এবং ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী, আগ্রাদ্বিগুন, বস্তাবর, কালুপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে গরু আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর নজরদারীতে সহজে গরু আনতে না পারায় অনেকে ভারত থেকে মরণ নেশা হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য আমদানী করছে। এতে করে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

এ বিষয়ে বিজিবি পত্নীতলা ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রফিকুল হাসান পিএসসি জানান, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে যেহেতু তারা সহজে গরু আনতে কোন ছাড় দিচ্ছেনা, এজন্য বাংলাদেশী কোন লোককে ভারত অভ্যন্তরে গিয়ে গরু না আনার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে ভারতীয় কোন লোক সীমান্ত পেরিয়ে জিরো লাইনে তাদের গরু আনলে কেবল তাদের গরুগুলিই গ্রহণ করা যেতে পারে বলেও তিনি বিভিন্ন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশী কোন লোককে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশে করার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।

অপর দিকে দেশে কোরবানীর ঈদে পশু সংকট পুশিয়ে নিতে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পশুপালনকারী ব্যক্তিরা গরু মোটাতাজা করণ ব্যবসায় অসংখ্য গরু পালন করেছেন বলে একাধিক ক্ষুদ্র ডেইরী ফার্মের মালিকরা জানিয়েছে। তবে ভারত থেকে পর্যাপ্ত গরু, মহিষ না আসায় বর্তমান বাজারে মূল্য বৃদ্ধিতে অনেকটায় প্রভাব পড়তে পারে বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল ও গরু ব্যাবসায়ীরা মনে করছেন।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test