E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুরমা ডায়গনষ্টিকের ধর্ষক এখনও গ্রেফতার হয়নি

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১৬:৫৬:১০
সুরমা ডায়গনষ্টিকের ধর্ষক এখনও গ্রেফতার হয়নি

বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা শহরের সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্স-রে টেকনিশিয়ান কর্তৃক এক নারী রোগীর সম্ভ্রম লুটের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহল নানা মুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

মামলা রুজুর ১১ দিন পরও ধর্ষক গৌছ গ্রেফতার না হওয়ায় ওই নারী নানামুখী চাপে আতংকিত।

তবে পুলিশের দাবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও হবিগঞ্জের কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়। বারবার অবস্থান পরিবর্তন ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে ফেলায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।

বড়লেখা শহরের কেন্দ্রস্থলে সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্স-রে কর্মচারী কর্তৃক এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর সম্ভ্রম লুটের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নানা অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সংঘটিত ধর্ষণ ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের অপপ্রচার দাবি করে মালিক পক্ষ নিজেদের সাফাই গেয়ে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে নির্দোষ প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এছাড়া প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্পীডমানির বিনিময়ে ম্যানেজ করে স্বাভাবিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ প্রক্রিয়াও অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে, সুরমা ডায়াগনষ্টিক সেণ্টারের এক্স-রে কর্মচারী ধর্ষক গৌছ গ্রেফতার না হওয়ায় ও মামলাটি প্রত্যাহার করতে ধর্ষণের শিকার স্বামী পরিত্যাক্তা নীরিহ নারীকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ। এসব নানামুখী চাপে অজানা এক আতংকে দিন কাটছে তার বলে জানান সম্ভ্রম হারানো ঐ নারী। বড়লেখায় সাংবাদিকদের সাথে দেখা করে তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি অত্যন্ত অসহায় ও গরীব দাবি করে বলেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ধনাঢ্য, তাদের সাথে পেরে ওঠা তার দ্বারা সম্ভব নয়।

অত্যন্ত সহজ-সরল ঐ নারী বলেন ‘পুলিশের বড় বাবাজীরাও আমারে আনিয়া জিগাইছন আমি সব কইছি। যে আমারে এমন খারাপ কাম করল তারে তো এখনও ধরা অইল না।’ তাছাড়া, ডাক্তার স্যার সুরমার মালিককে বলার পরও সে পুলিশে খবর দেয় নাই। বরং শেষ করে দেব বলে বলে সারা দিন বসিয়ে সন্ধ্যা বানিয়েছে। আসলে এইসব খারাপ কাজে তারও (সুরমা মালিকের) সায় আছে। না হলে ডাক্তার স্যার কওয়ার পর এমন করবে কেন?

সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, বিচার হলে গৌছের সাথে সুরমা মালিকেরও বিচার হওয়া উচিত। তখন আর কেউ এমন বেইজ্জতি হবে না।

বড়লেখা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, নির্যাতিত ওই মহিলাকে সর্বাত্মক আইনি সহায়তা দিবে পুলিশ। ধর্ষণকারী গৌছকে গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। বারবার অবস্থান পরিবর্তন ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে ফেলায় তাকে গ্রেফতার বিলম্বিত হচ্ছে।

(এলএস/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test