E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

গাইবান্ধায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশেষ সাড়াশি অভিযান

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১৬:৫০:২৮
গাইবান্ধায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশেষ সাড়াশি অভিযান

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার জেলার ৭টি উপজেলায় নৈরাজ্য, নাশকতা, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেল মাদকদ্রব্য পাচার, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী হামলা-মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত, দাগী চিহ্নিত আসামী ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের ডাকাতর বিরুদ্ধে চলছে পুলিশের বিশেষ সাড়াশি অভিযান।

গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলামের সফল নেতৃত্বের কারণেই জেলার ৭টি উপজেলার জনসাধরণের মধ্যে ফিরে এসেছে শান্তি। পুলিশ সুপার জেলার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। শুধু তাই নয় বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত যেভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেড সৃষ্টি করে জেলাকে অচল ছাড়াও উত্তরাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার উপচেষ্টা, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে রাস্তা পথে একা পেয়ে কুপিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া, রাস্তা কেটে রাস্তার মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কবর তৈরি, উপজেলার বিভিন্ন রুটে ব্যরিকেট দিয়ে বাস যাত্রীদের নেমে দিয়ে বাস ভাংচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ৩২ মাইল এলাকায় প্রায় প্রতিরাতে ডাকাতি সংগঠিত, জেলার ৭টি উপজেলার নরাজ্য, নাশকতা, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল মাদকদ্রব্য পাচার, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জুয়া, যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য, হাউজি যেভাবে বৃদ্ধি হয়েছিল তার বর্তমানে নেই।

পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৭টি উপজেলার সকল অফিসার এবং পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে জেলায় আইন-শৃঙ্খলা, সন্ত্রাস-নাশকতা স্থিতিশীল করা সম্ভব হয়েছে। ইতোপূর্বে সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবি, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়সহ সন্ত্রাস-নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে গোপন অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, যতদিন গাইবান্ধা জেলার দায়িত্বে থাকব সকল প্রকার অপরাধ এবং আইন-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। জেলার ৭টি উপজেলার থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের মধ্যে ২ হাজারের অধিক অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চিহ্নিত তালিকাভূক্ত এবং ২’শর অধিক আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য রয়েছে। সম্প্রতি জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ হত্যা মামলা অন্যতম আসামী জেলার তুশলীঘাট বুড়ির ঘর নামক এলাকায় গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে শিশুসহ নিরীহ ৮ জন যাত্রীকে পুড়িয়ে মারাসহ প্রায় তিন ডজনের অধিক মামলার আসামী জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ (বরখাস্তকৃত) চেয়ারম্যান মাওঃ নজরুল ইসলাম লেবুর পুত্রসহ গ্রেফতার করা। আটককৃতদের সকলকেই কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় লোকজন জানান, এতে জেলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার থানা পুলিশের এ সকল অভিযান চলায় রাজনৈতিক সহিংসতা ও নাশকতার পরিকল্পনাকারী চক্রের সদস্যরাসহ অপরাধীরাও লাপাত্তা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকায় জেলার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের কারণে পাল্টে যাচ্ছে বিগত দিনের চিত্র। কমেছে অপরাধ মূলক কাজের পরিমাণ। জেলার এ অবস্থা ফিরে আনার পিছনে যার অবদান গোটা জেলাবাসীর মুখে মুখে তিনি হলেন গাইবান্ধা জেলার সফল পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম।

(আরআই/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test