E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘গণজাগরণ মঞ্চকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে’

২০১৪ মে ২৪ ১৮:৫৯:৩৮
‘গণজাগরণ মঞ্চকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : গণজাগরণ মঞ্চকে একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে, তবে এ সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কে সভাপতি হবে, কে নেতৃত্বে থাকবে তা নিয়ে কামড়াকামড়ি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ‘বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনার সভার বক্তারা।

শনিবার বিকেলে গণজাগরণ মঞ্চের আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।

এছাড়া দেশকে যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে মুক্ত করতে হলে বড় দুই দলকে জামায়াত ইসলামের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। আর এ দাবি বাস্তবায়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করতে হলে আবারও শাহবাগে জনতার জোয়ার সৃষ্টি করতে হবে মনে করেন বক্তারা।

বৈঠকে বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, মায়ের ও বোনের জীবন নিয়ে জুয়া খেলা চলে না। এ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিলো। কিন্তু বিচার নিয়ে যখন ধীরগতি দেখি তখন হতাশ হতে হয়।

তিনি বলেন, একজন চিকন আলীকে ফাঁসি দিয়ে অন্য মোটা আলীদের বিচার নিয়ে টালবাহানা ঠিক না। রাজনীতির স্বার্থে এমন হীন খেলা খেলবেন ‍না। জামায়াতের সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলা খেলবেন না। বিএনপিকে বলতে চাই, জামায়াতের হাত ছেড়ে দিন। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেও ওয়াদা করতে হবে, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে কোনো আপস নয়।

যুদ্ধাপরাধের বিচার বাস্তবায়ন করতে হলে শাহবাগে আবার জনতার জোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। যদি শাহবাগে আবার জনতার জোয়ার সৃষ্টি করা যায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী তাতে যোগ দেবেন। এমনকি খালেদা জিয়াও নাস্তিক-ফাস্তিক বলা বাদ দিয়ে সেখানে যোগ দিবেন বলে মন্তব্য করেন বিশিষ্ট এই সাংবাদিক।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের কারণেই আইন পরিবর্তন করায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জোরালো হয়েছে।

তিনি বলেন, গণজাগরণ মঞ্চকে একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। তবে এ সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কে সভাপতি হবে, কে নেতৃত্বে থাকবে তা নিয়ে কামড়াকামড়ি করা যাবে না।

যদি গণজাগরণ মঞ্চকে একটি প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায় তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে সরকারকে চাপে রাখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বর্তমানে যা হচ্ছে তা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে রাজনীতির খেলা বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে এ বিচার নিয়ে টালবাহানা করা ঠিক হবে না।

ব্লগার আরিফ জেবতিকের সঞ্চলনার বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক অজয় রায়, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবীর, ইমরান এইচ সরকার, মাহফুজা খানম, রাগীব হাসান মুন্না, তানজীমুদ্দিন খান, শিক্ষাবিদ মানস চৌধুরী, মাওলানা জিয়াউল হাসান প্রমুখ।

(ওএস/এটিআর/মে ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test