E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবৈধভাবে চাল কলকে পুনরায় চাল বরাদ্দে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৭:০৬:২৭
অবৈধভাবে চাল কলকে পুনরায় চাল বরাদ্দে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নওগাঁ প্রতিনিধি: খাদ্য নীতিমালা অমান্য করে নওগাঁ সদর উপজেলার ২টি চাল কলকে ৬৭ মেট্রিক টন চাল পূনঃ বরাদ্দ দেয়ায় নওগাঁর জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।

নওগাঁ সদর উপজেলার সুলতানপুর মহল্লার নিশি চাউল কলের মালিক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর আর্জি গ্রহণ করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি ড. মোঃ আমিনুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি হাসিনা আকতার, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী, সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরুণ কুমার প্রামানিক, নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম বাবু, সদর উপজেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল মোতালেব তালুকদার, কনিকা-২ চাউল কলের সত্বাধিকারী মেহেদী হাসান ও মাহবুব চাউল কলের সত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমানকে।

আদালতে দাখিলকৃত বাদীর আর্জি সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলার ৩৫৬ জন বৈধ লাইসেন্সধারী মিল মালিক সরকারী খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের জন্য তালিকাভুক্ত হন।

এর মধ্যে ৩৪৯ নং নজিবর চাউল কলের সত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন, মামলার বাদীসহ তিন ভাইয়ের মধ্যে মালিকানা বিরোধের কারণে ওই মিলের বরাদ্দকৃত ৬৭ মেট্রিক টন চাউল সরবরাহের জন্য ৩১ মে’র মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করতে পারেননি। এ অবস্থায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৬৭ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ স্থগিত রাখেন।

খাদ্য নীতিমালা অনুযায়ী জেলা সংগ্রহ কমিটির জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৬৭ মেট্রিক টন চাউল ৩৫৫ জন মিল মালিকের মধ্যে পূনঃ বরাদ্দ করতে পারবেন। কিন্তু জেলা সংগ্রহ কমিটির সিদ্ধান্ত না নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হোসেন কনিকা-২ ও মাহবুব চাউল কলের সত্বাধিকারীকে ৬৭ মেট্রিক টন চাউল পূণঃ বরাদ্দ প্রদান করে। যা সম্পুর্ণ ভাবে অবৈধ, বেআইনি এবং খাদ্য নীতিমালা পরিপন্থি। এক্ষেত্রে নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে বরাদ্দ দেয়ায় ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আশায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে আর্জিতে উল্লেখ আছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আদালত থেকে চিঠি পেয়েছি। সঠিক সময়ে আদালতে জবাব দেয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, খাদ্য নীতিমালা মেনে এবং সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সঙ্গে এবং চাউল কল মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দের সুপারিশ ক্রমে ও আলোচনা করেই কনিকা-২ ও মাহবুব চালকলকে স্থগিত রাখা ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম করা হয়নি।

(বিএম/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test