E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গুরুদাসপুরে আ’লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ

২০১৪ মে ২৫ ১৬:৩০:০০
গুরুদাসপুরে আ’লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজারের স্বপ্না গার্মেন্টস নামে এক কাপড়ের দোকানে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করা হয়। ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গত ১৯ মে সকালে সরকারী দলের ক্যাডার বাহিনী লুটপাট ও হামলা চালায়। এই লুটপাটের অভিযোগ এনে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এমনকি মামলা দায়েরের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নিজে সুপারিশ করার পরও আসামীদের গ্রেফতারে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি পুলিশ। রোববার স্থানীয় একটি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী সবুজ ফকিরের নেতৃত্বে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা তাদের কাছে ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবী করলে তারা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরই জেরে গত ১৯মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মার্কেটের মালিক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের উপস্থিতিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী সবুজ ফকিরের নেতৃত্বে মইনুল, ফারুক, ইসলাম ও ইসমাইল হোসেনসহ একদল সন্ত্রাসী তাদের দোকানে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিলে তারা দোকান কর্মচারী সাদ্দাম হোসেনকে মারপিট করে এবং দোকান থেকে সকলকে বের করে দিয়ে দোকানে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা ও প্রায় অর্ধকোটি টাকার কাপড় নিয়ে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ঘটনার সময় দোকানের সামনে র‌্যাব সদস্যদের বহন করা একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা নিরব ছিল। এই ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা গ্রহন করা হয়নি। পরে
আদালতে মার্কেটের মালিক সাবেক এসপি আমজাদ হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারন সম্পাদক সবুজ ফকিরের নামসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০/২৫জনের নামে মামলা রুজু করা হয়। আদালত গুরুদাসপুর থানার ওসি কে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার কিংবা মামলা তদন্তে গড়িমসি করছে। স্থানীয় এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নিজেও আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সুপারিশ করার পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।
গুরুদাসপুর থানার ওসি (তদন্ত) উমর ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে ইসলাম নামে অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি। তবে তার শ্যালক মঈনুল ইসলাম জানান, সিরাজুল ইসলাম গত সাত বছর ধরে তাদের দোকানঘর জবর দোখল করে রেখেছিল। তাদের দোকান ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে দোকানটি দখলমুক্ত করা হয়। ওই দোকানের মালামাল বনিক সমিতির হেফাজতে রয়েছে। হামলা বা লুটপাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
(এমআর/এএস/মে ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test