E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রানীশংকৈলের প্রকাশ্যে চলছে গাঁজা সেবন, প্রশাসন নিরব

২০১৫ অক্টোবর ১১ ১২:৪০:১৪
রানীশংকৈলের প্রকাশ্যে চলছে গাঁজা সেবন, প্রশাসন নিরব

রানীশংকৈল প্রতিনিধি: কয়েকজন মধ্যেবয়সী যুবক গোল হয়ে বসে আছে। মাথা নিচু করে। তাদেও নড়াচড়া দেখে বুঝা গেলে তারা কিছু একটা করছে।

প্রশ্ন হলো কি করছে? নিকটে যেতেই সবার সর্তক অবস্থান। প্রত্যেকের হাতেই সিগারেট। তবে মনে হচ্ছে তাদের মধ্যে একজন কিছু একটা হাতের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেনে। কি এগুলো প্রশ্ন করতেই তাদের মধ্যে থেকে নবী নামের একজনের সরাসরি জবাব গাঁজা। এগুলো কি করছেন উত্তরে বলেন গাঁজা দিয়ে স্টিক বানাচ্ছি।

জানা যায়, তারা ঢাকা থেকে আগত নাইট কোচের হেলপার। তাদের মধ্যে অন্যদের নাম হলো নয়ন, জব্বার, কামরুল এগুলো তাদের বলা নাম। এভাবে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করছেন কেউ বাধা দেয় না? প্রশ্ন ছুড়তে না ছুড়তেই উত্তর ভাই আমরা শ্রমিক সারারাত ডিউটি করেছি এখন এটা না খেলে শান্তি হবে না॥

আরেকজন বলেন, আরে ভাই এটাতো সিগারেট আমরা শুধুই সিগারেটের ময়লাটা ফেলে দিয়ে ভাল জিনিস ঢুকিয়ে ধুমপান করছি। এই ধুমপান করা কি অপরাধ? এই শ্রমিকদের সাথে কথা হয় ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার ড্রিগী কলেজ বাস টার্মিনালের পিছনে অবস্থিত ধান চাতালে।

রানীশংকৈল শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা সেবন চলছে হরহামেশাই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানীশংকৈলের ভাল পরিবারের কতিপয় ছেলেরা এখন মাদক আনা নেওয়া করছেন জেলার বিভিন্ন জায়গা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অবাধে ঢুকছে মরন নেশা মাদক।

এদিকে প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে দিন দিন বেড়েই চলছে গাঁজা সেবী। তাও আবার সিগারেটের মত প্রতাশ্যে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে ১৯৮৭ সালে গাঁজা চাষ নিষিদ্ধ করা হয় এবং পরবর্তীতে গাঁজা বিক্রিত দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রানীশংকৈল উপজেলার যেসব জায়গায় প্রকাশ্যে যত্রতত্র মাদক সেবন হয় সেগুলো হলো, শিবদিঘী নব-নির্মিত মুক্তিযোদ্বা কমপ্লেক্স ভবনের পিছনে, কেন্দ্রীয় স্কুল মাঠ, পাইলট স্কুল ব্রিজ, নেকমরদ, খুনিয়া দিঘী, রামরাই দিঘী, হ্যালিপ্যাড মাঠ, বন্দর শহরের অলিগলি, চাদনী সিনেমা হলের আশে পাশে, আবাদতাকিয়া মাদ্রাসা মাঠ, শালবাড়ী বাগান, প্রগতি ক্লাবের অলিগলিসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন চলছে বিশেষ করে সন্ধার পড়ে।

পুলিশ জানান, উন্মুক্ত এলাকায় গাঁজা সেবীদের মাঝে মাঝে মধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাদেরও অভিযোগ সামান্যে গাঁজাসহ আটক হওয়ার কারণে গাজাসেবী এমনকি বিক্রেতারাও জামিনে বের হয়ে আসে। জেল থেকে বের হয়ে তারা আবার একই কাজ করে।

রানীশংকৈলবাসী এই গাঁজা থেকে মুক্তি চায়।

(কেএএস/এলপিবি/অক্টোবর ১১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test