E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফুলবাড়ীতে শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

২০১৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:৩২:৫৪
ফুলবাড়ীতে শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে সোমবার রাত সাড়ে ৩টায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।

ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল লুন্ঠন করে নিয়ে গেছে। ইউএনওসহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের পূর্ব-দক্ষিণ গেট সংলগ্ন কাঁটাবাড়ি গ্রামের স্থানীয় দারুস সুন্নাহ সিদ্দিকীয় ফাজিল মাদ্রাসা সহকারি অধ্যাপক মঈনুদ্দিন বাবলু ও তার স্ত্রী মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মোছা. আজিজা খানমের বাড়িতে সোমবার রাত সাড়ে ৩ টায় ১৪ থেকে ১৫ জনের একটি মুখোস ও হাফপ্যান্ট পরিহিত ডাকাতদল হামলা চালায়। ডাকাতদল প্রথমে বাড়ির গ্রীলের দরজার তালা ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গৃহকর্তা মঈনুদ্দিন ও তার ছেলে মোহাম্মদ আলী রাফির হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে আজিজা খনমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে উল্লেখিত অংকের অর্থ ও সম্পদ লুন্ঠন করে পালিয়ে যায়। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে তাদেরকে বাহির থেকে দরজা ছিটকি দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে ডাকাতদল।

অপরদিকে একই রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ১ কিলোমিটার অদুরে পৌর শহরের চকচকা গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে ডাকাতদল হামলা চালায়। কিন্তু বাড়ির লোকজনের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

সহকারি অধ্যাপক মঈনুদ্দিন বাবলু ও তার স্ত্রী সহকারি অধ্যাপক মোছা. আজিজা খানম বলেন, প্রত্যেক ডাকাতের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। অন্তত ৫ থেকে ৬ জন ডাকাত বাড়িতে ঢুকে উল্লেখিত মালামালসহ অর্থ সম্পদ লুট করে। এ সময় ৯ থেকে ১০ জন ডাকাত ঘরের বাইরে ও বাড়ি সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থান করে ডাকাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ঘটনার জন্য মামলার প্রস্তুতি চলছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, রাতে যে পুলিশ অফিসার ঐ এলাকার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি উপজেলা পরিষদের সার্বিক নিরাপত্তা দেখে শুণে এসেছিলেন। কিন্তু ডাকাতি ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাইরে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, পেশাদার ডাতাতদলই ঐ ডাকাতি সংঘটিত করেছে। ডাকাতির স্থান উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ১ মিটার দুরত্ব হবে না। ডাকাতদল ডাকাতির সময় ঐ বাড়ি সংলগ্ন উপজেলা পরিষদের চত্বরও ব্যবহার করেছে। ডাকাতির ঘটনার পর থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসবাসকারি তিনিসহ সকলই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

(এসিজি/এলপিবি/অক্টোবর ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test