E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

২০১৫ অক্টোবর ১৬ ১৮:২৫:৩২
লোহাগড়ায় মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের  চাঞ্চল্যকর মোহাম্মাদ মল্লিক (৭০) হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীকে হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল এগারটায় লোহাগড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত মোহাম্মাদ মল্লিকের ছেলে ও মামলার বাদী আলমগীর মল্লিক। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউপির চর মল্লিকপুর গ্রামে গত ১৪/০৮/২০১৫ইং তারিখে রাত সাড়ে আটটার দিকে মৃধাপাড়া জামে মসজিদের পাশে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মোহাম্মাদ মল্লিক (৭০) কে হত্যা করে। হত্যা কান্ডের ঘটনায় গত ১৬আগস্ট ২০১৫ইং তারিখে ২২জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং ১৮তাং ১৬আগস্ট ২০১৫ইং।

ঘটনার সময় আমি সহ উপস্থিত অনেকে ঘটনা প্রত্যেক্ষ করেন। হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মল্লিকপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই মনিরুল ইসলামকে আসামী করার জন্য এজাহার দাখিল করলেও তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুৎফর রহমানের চাপের মুখে তাদেরকে মামলার আসামী করা সম্ভব হয় নাই। এর পর মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা নড়াইল আদালতে আত্মসর্মপণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

২২জন আসামীর মধ্যে ৪জনকে চিহ্নিত করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই স্বপন কুমার দাস রিমান্ডে এনে জিঞাসাবাদ করলেও তাদের থেকে হত্যাকান্ড সর্ম্পকে কোন গুরুত্তপূর্ণ তথ্য উৎঘাটন করতে ব্যার্থ হয়। বাদী আরও আভিযোগ করে বলেন, রিমান্ডের নামে চার জন আসামীকে এনে জামাই আদর করা হয়েছে। ফলে হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত সে বিষয়ে কোন তথ্য উৎঘাটিত হয় নাই। আমার বিশ্বাস তদন্তকারি কর্মকর্তার দায়ীত্বে অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে হত্যা মামলার ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় দেখা দিয়েছে। মামলার বাদী আরও অভিযোগ করে বলেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই মনিরুর ইসলাম পরস্পর যোগসাজসে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া মামলার বিষয়ে নড়াইল আদালতে মামলার খোজ খবর নিতে গেলে সেখানেও চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আদালত চত্বর থেকে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছি।

চাঞ্চল্যকর মোহাম্মাদ মল্লিক হত্যাকান্ডের সাথে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই মনিরুরসহ তার সহযোগীরা জড়িত। সুষ্ঠও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর মোহাম্মাদ মল্লিক হত্যা কান্ডের যথাযথ তদন্ত এবং প্রকৃত জড়িতদের চিহ্নিত করে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

(আরএম/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test