E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রানীশংকৈলের ৬ বীরাঙ্গনা এখন মুক্তিযোদ্ধা

২০১৫ অক্টোবর ১৭ ১৩:১৭:৩০
রানীশংকৈলের ৬ বীরাঙ্গনা এখন মুক্তিযোদ্ধা

রানীশংকৈল প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় ৬ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করেছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।

১৯৭১ সালে এ উপজেলায় কতজন নারী পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। ২০০৭-০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ের দিকে জেলার কিছু মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে সেই সব নির্যাতিত নারীদের তালিকা তৈরি করা হয় এতে মোট ৩৫ জনকে পাওয়া যায়। এই ৩৫ জনের মধ্যে নাম পরিচয় প্রকাশ করেন ২৪ জন নারী।

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ১২ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ৪১ জন নির্যাতিত বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সমগ্র জেলার মধ্যে রানীশংকৈল উপজেলার ৬ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যারা তালিকায় রয়েছেন, উপজেলার রাউতনগর গ্রামের শহীদ মঙ্গুল কিসকু’র কন্যা মনি কিসকু, মুগুল কিসকু’র কন্যা সুমি বাসুগী, হাফিজ উদ্দীনের কন্যা হাফেজা, নিয়ানপুর গ্রামের জমরত আলীর কন্যা মালেকা, শিদলী গ্রামের বনহরি সরকারের কন্যা নিহারানী দাস, পক্মবা গ্রামের মনির উদ্দীনের কন্যা নুরজাহান। এই ৬ জন বীরাঙ্গনা তাদের এই শেষ বয়সে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।

এছাড়াও এ উপজেলায় এখনও অনেক বীরাঙ্গনা কঠিন কষ্টে দিননিপাত করছে তারাও সরকারের কাছে অতি দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি চেয়েছে।

এদিকে রানীশংকৈল উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এখনও সীকৃতি পাননি। এদের মধ্যে দিনাজপুর ৭নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সোলাইমান আলী বলেন, আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তৎকালীন ট্রেনিং সার্টিফিকেট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোথাও কোন ঠাই পাচ্ছি না। আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাই জীবনের শেষ মূহুর্তে আমাকে যেন মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

(কেএএস/এলপিবি/অক্টোবর ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test