E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নারায়ণগঞ্জে নিহতের স্বজনেরা নূর হোসেন আতঙ্কে

২০১৫ নভেম্বর ১৫ ১০:৪০:৩৯
নারায়ণগঞ্জে নিহতের স্বজনেরা নূর হোসেন আতঙ্কে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁদের আশঙ্কা, নূর হোসেন কারাগারে থাকলেও তাঁর সহযোগীরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন।

এদিকে নূর হোসেনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সাধারণ সেলে রাখা হয়েছে। কারাধ্যক্ষ মো. নেছার আলম বলেন, নূর হোসেন সাধারণ বন্দীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত স্বজনেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাননি।

মামলার বাদী ও নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম (বিউটি) বলেন, ‘কাঠগড়ায় নূর হোসেনের মধ্যে কোনো উদ্বেগ বা ভয়ের ছাপ দেখা যায়নি। এ থেকে মনে হচ্ছে, নূর হোসেনের নিয়ন্ত্রণেই সবকিছু। এখন নূর হোসেনের লোকজন আগের মতোই মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। নারায়ণগঞ্জের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী বর্তমানে নূর হোসেন ও তাঁর ক্যাডারদের লালন করছে। নূর হোসেনকে আদালতে হাজির করার দিন কয়েকজন লোকের কর্মকাণ্ড তা-ই প্রমাণ করে।’ তিনি বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের লোকজনকে মারধর, হুমকি-ধমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নূর হোসেন ফিরে আসায় তারা আরও বেপরোয়া হবে।’

সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘সাত খুনের ঘটনার পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমাকে পুলিশ প্রহরা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ এই মামলার পুনরায় তদন্ত চেয়ে তিনি শিগগিরই উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানান।

নিহত নজরুলের ছোট ভাই আবদুস সালাম বলেন, ‘নূর হোসেন ফিরে আসায় আমরা আতঙ্কে আছি। নূর হোসেন কারাগারের ভেতরে থেকেই তাঁর সহযোগীদের দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবেন।’

সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা আবুল ফজল ও কেরামত আলী বলেন, নূর হোসেনের মতো একজন দুর্ধর্ষ খুনিকে পুলিশি রিমান্ডে না নেওয়ায় মানুষের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়ির চালক ইব্রাহিমকে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল বলেন, তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চান।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযোগপত্রভুক্ত ১২ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। অভিযোগপত্রভুক্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনের সহযোগী বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার সেলিম (বর্তমানে ভারতের কারাগারে আটক), নূর হোসেনের সহযোগী সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার সানা উল্লাহ, ম্যানেজার শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন এখনো পলাতক রয়েছেন। আর র্যাবের সদস্যদের মধ্যে এনামুল কবির, কামাল হোসেন, মোখলেছুর রহমান, আবদুল আলিম, মহিউদ্দিন মুন্সী, আল আমিন শরীফ, তাজুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান।
(ওএস/এসসি/নবেম্বর১৫,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test