E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাশিমপুর ভূমি অফিসের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

২০১৪ মে ২৭ ১২:৪৯:১৩
কাশিমপুর ভূমি অফিসের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুরের কাশিমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, সাতটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভূমি উন্নয়ন কর সরকারি বিধি অনুযায়ী আদায় না করে ওই টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শান্ত সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেড ও সহযোগী আরও চার প্রতিষ্ঠানের কাশিমপুরের সারাব মৌজায় ২৭ দশমিক ৪৩ একর জমি রয়েছে। প্রতি শতাংশ শিল্প জমির ভূমিকর ১২৫ টাকা হারে ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কাছে সাত বছরের রাজস্ব সুদ ছাড়াই বকেয়া ছিল ২৪ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইব্রাহীম কাজী ১২৫ টাকা হারে সুদসহ ২৬ লাখ পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য শিল্পমালিককে নোটিশ দেন। ৬ মার্চ এক বছরের অগ্রিমসহ ওই পাঁচ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের রাজস্ব কর ‘শিল্প রেট’ ১২৫ টাকার স্থলে ‘আবাসিক রেট’ ২২ টাকা শতক হারে সুদসহ ছয় লাখ তিন হাজার ৯৯৮ টাকা আদায় করেন। এতে রাজস্ব ফাঁকি হয় ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫৮৫ টাকা।

সূত্র আরও জানায়, ওই অফিসের সাবেক ভূমি কর্মকর্তা ইব্রাহীম কাজী ও সদর ভূমি অফিসের কানুনগো হাবিবুর রহমান ও গাজীপুর সদরের সাবেক সহকারী কমিশনার মোতাকাবি্বর আহমেদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা এ রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে সরকারের ওই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির সুযোগ করে দিয়েছেন।

কাশিমপুর অফিসে শিল্প জোত রয়েছে ছয় শতাধিক। মাত্র সাতটি শিল্প জোত থেকে ওই ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। সব জোত পরীক্ষা করলে আরও রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা বের হয়ে আসতে পারে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

(ওএস/এইচআর/মে ২৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test