E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বন্দরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে

২০১৫ নভেম্বর ২২ ১৯:৫৮:১২
বন্দরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) সংসদীয় আসনের এলাকাধীন বন্দর উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সংগঠন ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্যাস সিলিন্ডার প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

রোববার(২২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞার সভাপতিত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানি লিমিটেড এর কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এ সিদ্ধান্ত দেন।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানি লিমিটেড এর আঞ্চলিক বিপনন ডিভিশনের জরিপ অনুযায়ী বন্দর উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার অবৈধ লাইনের সংযোগ রয়েছে।

আঞ্চলিক বিপনন ডিভিশনের জরিপের সূত্র ধরে সেলিম ওসমান বলেন, প্রতিটি চুলার জন্য সরকারী ভাবে ৬৫০টাকা বিল হিসেবে প্রতি মাসে ৬৫ লাখ এবং বছরে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হচ্ছে। সেই সাথে লাইনের লিকেজ ও অপচয়ের কারণে একই পরিমাণ গ্যাস ব্যয় হচ্ছে। সব মিলিয়ে বন্দর থেকে রাষ্ট্র ও তিতাস কর্তৃপক্ষ বছরে প্রায় ১৬টি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ওই সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।

এরজন্য ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এর পক্ষ থেকে সম্পূর্ন সহযোগীতা করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে একটি করে গ্যাস সিলিন্ডার প্রদান করা হবে। এতে বর্তমান মূল্য অনুযায়ী প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। যে কোম্পানির কাছ থেকে এক সাথে ১০ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করা হবে এখানে তাদের একটি বাজার সৃষ্টি হবে। তিতাস কৃর্তপক্ষের মাধ্যমে ওই কোম্পানির কাছ থেকে কিছু ভর্তুকি ও সিলিন্ডার রিফিল করার জন্য বন্দর এলাকায় সুবিধাজনক স্থানে কয়েকটি রিফিল সেন্টার স্থাপনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। যাতে করে সাধারণ মানুষকে পরিবহন খরচ গুনতে না হয়।

পাশাপাশি সেলিম ওসমান তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে আরও দাবি রেখে বলেন, সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে যেহেতু ওই ১০ হাজার অবৈধ লাইনের গ্যাস সাশ্রয় হবে সেহেতু যে পরিমান গ্যাস অবৈধভাবে ব্যয় হয়ে যেত সেই পরিমান না হলেও অন্তত ৬০ ভাগ গ্যাস বৈধ ভাবে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরে শিল্পদ্যোক্তাদের নতুন শিল্পায়ন গড়ার করার জন্য দিতে হবে। আর ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের কারনে নারায়ণগঞ্জে বর্তমানে চলমান গ্যাস সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সার কারখানা ও নারায়ণগঞ্জের জন্য গ্যাস সরবাহ রেশনিং পদ্ধতি করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। এতে করে উভয়কে নিদিষ্ট করে একটি সময় নির্ধারণ করে দিলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রৌকশলী মোহাম্মদ নওশাদ ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) গাউসুল আজম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) শাহীন আরা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর দুলাল প্রধান, আনোয়ার হোসেন, সিরাজউদ্দিন, ফয়সাল সাগর, ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন প্রমুখ।


(এমআর/এসসি/নভেম্বর ১২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test