E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

রানীশংকৈলে স্কুলের মাঠ দখল করে চলছে আনন্দ মেলা!

২০১৫ নভেম্বর ২৩ ১৫:৫৯:২১
রানীশংকৈলে স্কুলের মাঠ দখল করে চলছে আনন্দ মেলা!

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : বর্তমান সরকার দেশে শতভাগ নিরক্ষতা দূরীকরণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য খুলেছেন আনন্দ স্কুল অনুমোদন দিচ্ছেন বিভিন্ন নামে কিন্ডার গার্টেন স্কুল এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতেই দিচ্ছেন পাঠ্য পুস্তুকসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।

সমগ্র দেশে এ বিষয়গুলি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং সঠিকভাবে তদারকী করার জন্য দায়িত্ব দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষকে, প্রশাসনের প্রধান হিসেবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। ঠিক তখনই ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে প্রশাসনের নাকের ডগায় উপজেলার মহারাজায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল মাঠ দখল করে আনন্দ মেলার নামে চলছে যৌন উত্তেজক নৃত্য, জুয়া, যাত্রা পালা র‌্যাফেল ড্র অথচ প্রশাসনের কর্তাবাবুরা বলছেন আমরা জানি না।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহারাজা কিন্ডার গার্ডেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয় এই ৩ বিদ্যালয়ের মাঠ একটিই। সেই মাঠ দখল করে আনন্দ মেলার নামে সমগ্র বিদ্যালয়ের মাঠ শ্রেণী কক্ষ, টয়লেট দখল করে ৬নং কাশিপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা জোতিশ চন্দ্র রায় নিজে মেলা কমিটির সভাপতি হয়ে মাঠটি দখল করে মেলা চালাচ্ছেন।

৭ই নভেম্বর প্রশাসনের বাধা থাকা সত্বেও ২য় বর্ষ এই আনন্দ মেলার উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম.ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি ইয়াসিন আলী। তবে তিনি পরে তার বক্তব্যতে স্বীকার করে বলেন যে, ডিসি ও এসপি সাহেব আমাকে এখানে আসতে বার বার নিষেধ করেছেন তারপরও আমি এসেছি মেলা কমিটিকে বুঝাতে যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একটু উত্তপ বিদেশীদের উপর অনবরত হামলা হচ্ছে এই মূহর্তে মেলা হবে না গান বাজনা হবে না বলে তিনি মাইকে সাফ জানিয়ে দেন।। তারপরও কিভাবে এই মেলা চলছে প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

সদ্য সমাপ্ত জেএসসি,জেডিসি, শুরু হয়েছে পিএস সি, ইবদেতায়ী, সামনে এস এসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে পরীক্ষার্থীদের, তারা মেলার কারণে ক্লাশ করতে পারছে না। এ ব্যাপারে ৩টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ আমরা তো এখানে চাকরী করি বেশি কিছু বলতে পারি না তবে মেলার কারণে শিক্ষার্থাদের পাঠদানে আমাদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ঐ এলাকার একাধিক অভিভাবক আমাদের প্রতিনিধিকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা উপজেলা শহর হতে প্রায় ২৫ কিমিঃ দুরে গ্রামে বসবাস করছি এখন থেকে ২ বছর আগে ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করছিলাম কিন্তু হাঠৎ করেই ২বছর ধরে এক আজাব আসতে শুরু করেছে আমদের গ্রামে।

এলাকার কিছু বিপদগামী লোক গত বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করছে। এতে আমাদের ছেলে মেয়েরা মেলার সময় আমাদের কোন কথাই শুনছে না, নষ্ট করছে পড়ালেখার সময়,অপচয় করছে টাকা। মেলায় অশ্লীল নৃত্য দেখে ধীরে ধাপিয়ে পড়ছে বিভিন্ন খারাপ কাজের দিকে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের নাম না প্রকাশের সত্য এক কর্তা বলেন মেলা কমিটি ৭ নভেম্বর মেলা করার কোন অনুমতি পাননি, প্রশাসনের প্রধান কর্তাদের মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে মেলা চালাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে মেলা উদ্বোধনে এমপি দবিরুলকে বাধাদানকারী জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মেলার ১০ দিনের অনুমতি সম্প্রতি দেওয়া হয়েছে। তবে অশ্লীল নৃত্য জুয়া এবং বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে মেলা হচ্ছে এটা আমি জানি না বিষয়টি আমি দেখছি। এখন প্রশ্ন হলো কি দেখবেন জেলা প্রশাসক?

(কেএএস/এএস/নভেম্বর ২৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test