E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের ভোগান্তি

২০১৫ নভেম্বর ২৩ ১৬:২৯:৩৮
সুন্দরগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের ভোগান্তি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : সুন্দরগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোত ওষুধ স্বল্পতার কারণে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে দুই মাস অন্তর এক কার্টুন করে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

এছাড়া ক্লিনিকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও তা বন্ধ হয়ে যায় দুপুরের আগেই। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের। যার ফলে তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালের উপর। ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে। তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনসংখ্যার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।

সে মোতাবেক সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে কাপাসিয়া ইউনিয়নে ২টি ক্লিনিক নদী গর্বে বিলীন হয়ে যায়। বাকী ৫৯ টি ক্লিনিক চলমান রয়েছে। এসব ক্লিনিক গুলি ৩ মাসে মৌলিক প্রশিক্ষণ অর্জন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইটার (সিএইচসিপি) নিয়োগ করা হয়।

এছাড়া প্রত্যেকটি ক্লিনিকে একজন করে স্বাস্থ্য সহকারী পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও আজ অবদি তা দেওয়া হয়নি। ছাপরহাটী ইউনিয়নের বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করে বললেন এখানকার কমিউনিটি ক্লিনিকটির প্রায় প্রতিদিন দুপুরের আগে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সরবরাহকৃত ওষুধ এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ফুরিয়ে যায় এর কারণে পরবর্তি কোটার ওষুধ না আসা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ মূধা জানান, ৫৯টি ক্লিনিকে ৬১টি ল্যাপটব (সিএইচসিপি)কে দিয়েছে। বিদ্যুতের বিষয়, জমি খারিজ খতিয়ানের জন্য বলেছি ও প্রত্যেকটি ক্লিনিকের কমিটির পরিদর্শন করছে। যাতে কোন ধরনের ঔষুধের সট না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখছে।

(আরআই/এএস/নভেম্বর ২৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test