E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোপালগঞ্জের লাল শাপলা বাড়িয়ে দিয়েছে বিলের সৌন্দর্য

২০১৫ নভেম্বর ২৬ ১৭:০২:৩৩
গোপালগঞ্জের লাল শাপলা বাড়িয়ে দিয়েছে বিলের সৌন্দর্য

গোপালগঞ্জ থেকে মোজাম্মেল হোসেন : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার ছত্রকান্দার বিল, জোয়ারিয়ার বিলসহ বিভিন্ন বিলে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া লাল শাপলা বিলের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে।

এসব বিলে এমনভাবে লাল শাপলায় ভরে রয়েছে যে, দুর থেকে যেন মনে হবে পুরো বিল লাল গালিচা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। মনে হয় কোন গায়ের নববধূ লাল শাড়ি পরে যেন বাবার বাড়িতে নায়র এসেছে। প্রাকৃতিক এ সৌন্দয্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসেন। উপভোগ করেন প্রাকৃতিক এ অপার সৌন্দর্য। চারিদিকে সবুজ মাঠ আর মাঝখানে লাল শাপলা এ যেন আরেকটি বাংলাদেশ।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অন্ততঃ ২৫টি বিল ভরে রয়েছে লাল শাপলায়। এসব বিল সাধারনতঃ এক ফসলি জমি। এসব বিলে বোরো মৌসুমেই শুধুমাত্র ধান চাষ করেন কৃষকেরা। এর পর জমিতে বর্ষার পানি এসে যায়। সেখানেই প্রতিবছর প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় লাল শাপলা।

তবে অনেক বছর আগে এসব বিলের জমিতে সাদা-সবুজ শাপলা জন্ম নিলেও বিগত ১৯৮৮ সালের বন্যার পর থেকে শুরু হয় লাল শাপলা। চারিদিক লালে লালে একাকার হয়ে যায়। এ লাল শাপলার বিল দেখতে অনেকেই আসেন দূর দূরান্ত থেকে। এ দৃশ্য এক অভুতপূর্ব। যা মন ভরিয়ে দেয় আগত দর্শকদেরকে।

এ শাপলা একদিকে যেমন বিলের সৌন্দয্য বাড়িয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে খেটে খাওয়া দরিদ্র লোকেরা বর্ষাকালে যখন কোন কাজ থাকেনা তখন তা বাজারে বিক্রিও করে থাকেন। এ শাপলা সবজি হিসাবে এ অঞ্চলের মানুষ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে এ শাপলায় প্রচুর পরিমান আয়রন থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ানো হয়ে থাকে।

সাংস্কৃতিক কর্মী মোঃ নাজমুল ইসলাম ও কবি গাজী আব্দুল লতিফ বলেন, এখানে আসলে মন ভরে যায়। এ যেন আমার দেশের এক অপূর্ব চিত্র। এ দৃশ্য উপভোগ করতে আসা উচিত ভ্রমণ পিপাষুদের। তারা দেশের ভ্রমন পিপাষুদের এখানে আসারও আমন্ত্রণ জানান।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কর্মকর্তা হরলাল মধু জানান, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন বিলে এ শাপলা জন্ম নিয়ে থাকে। একটি উপাদেয় সবজি হিসাবে এ অঞ্চলের মানুষ এই শাপলা খেয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমান আয়রন, সিলিকন ও আয়োডিন রয়েছে যা মানবদেহের জন্যও উপকারী আর পাশাপাশি বিলের সৌন্দয্য বৃদ্ধিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখেেছ।

আর কিছুদিন পর লাল শাপলার এসব বিলে ধান চাষে নেমে পড়বে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। ফলাবে সোনালী ধান। এ দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বর্ষা না আসা পর্যন্ত।

(এমএইচএম/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test