E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতারে পুলিশের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ

২০১৫ নভেম্বর ৩০ ১৬:৩৪:০২
হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতারে পুলিশের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্মীতলায় বিএনপি কর্মী লিটন হত্যা মামলার প্রধান আসামী জামায়াত কর্মীসহ ১১ আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গত ২৩ দিনেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। 

সোমবার পর্যন্ত ওইসব আসামী গ্রেফতার না হওয়া এবং তাদের হুমকি-ধামকিতে বাদীর পরিবারের লোকজন শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গত ৭ নভেম্বর বেলা ১১ টার দিকে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমানের লাঠির আঘাতে ভাতিজা আরিফুল ইসলাম লিটন নিহত হয়। ওই হত্যা কান্ডের ঘটনায় জামায়াতকর্মী হাবিবুর রহমানকে প্রধান এবং আজাহার আলীকে ২ নং আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে নিহতের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আরিফুল ইসলাম লিটনের বড় ভাই মাটিন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম বিদ্যুত অভিযোগ করেন, একই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ একটি প্রভাবশালীমহল এই হত্যা কান্ডটি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে পুলিশ প্রশাসন এবং মামলার ময়না তদন্ত রিপোর্ট নিজেদের আয়ত্তে নিতে জোড় চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
নিহতের স্ত্রী মাহফুজা বেগম জানান, এই হত্যা মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য আসামীসহ তার লোকজন হুমকি-ধামকী অব্যাহত রাখাসহ ওই প্রভাবশালী মহলটি এই হত্যাকান্ডটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তার স্বামী হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেছে বলে এলাকায় অপ-প্রচার চালাচ্ছে। তিনি জামায়াত কর্মী হাবিবুরসহ তার স্বামী হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুক তার বিরুদ্ধে আনিত ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই হত্যাকান্ডের পর বিদ্যুতের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা, আসামী হাবিবুর রহমানের মাঠের পাকাধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাওয়াসহ হাবিবুরের একটি নিজস্ব কোচিং সেন্টার তালাবদ্ধ করে রেখেছে।
আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর সত্যতা অস্বীকার করে পত্মীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দীন জানান, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

(বিএম/এনএস/নভেম্বর ৩০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test