E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরার মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল

২০১৪ মে ২৮ ২১:০৮:০৫
সাতক্ষীরার মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : জামায়াত-বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত  মানবাধিকার কর্মী  ও আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম আলি হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।  এজাহারভুক্ত এক বিএনপি নেতাকে বাদ দিয়ে সাতজনকে নতুন করে সম্পৃক্ত করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নকীব অয়জুল হক আজ বুধবার আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এদিকে মামলার বাদি নিহতের স্ত্রী আফরোজা সুলতানার অভিযোগ, তার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতাসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনের নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়নি।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁচাই গ্রামের আফরোজা সুলতানা জানান, তার স্বামী মোসলেম আলী(৭০) বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কালীগঞ্জ শাখা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুর পৌনে দু’টোর দিকে উপজেলার মুকুন্দ মধুসুধনপুর চৌমুহুনী নামক স্থানে জামায়াত- বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন সকালে থানায় স্বামীর লাশ থাকা অবস্থায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আজম খান, উপপরিদর্শক সেকেন্দার আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতাসহ দু’জন তিন বার এজাহার পরিবর্তণ করে চতুর্থবার তৈরি একটি লিখিত কাগজ না পড়িয়েই সাক্ষর করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ওই কাগজটি ১৭ ডিসেসম্বর রাতে হত্যা মামলা (জিআর-৩৩৯) হিসেবে রেকর্ড দেখানো হয়। মামলায় ২৪জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫জনকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় হত্যাকাণ্ডে ইন্ধনদাতা বিষ্ণুপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি কর্মী মিজানুর রহমান, তার ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সাগর ও চাচাত ভাই মাহাবুবর রহমান রহমান মুকুলসহ জামায়াত বিএনপি’র বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীর নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি তিন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নকিব, বর্তমান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরকে অবহিত করার পরও তাদের কোন সহায়তা পাননি। এমতাবস্থায় আশাহত হয়ে গত ৩ এপ্রিল তার ছেলে জাকির হোসেন অতিরিক্ত ১৯জন আসামীর নাম সম্পৃক্ত করে সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম আকরাম হোসেনের আদালতে সম্পুরক মামলা(সিআরপি-৯৪/১৪ কালীগঞ্জ) করে। বিচারক সম্পুরক মামলার কার্চক্রম স্থগিত রেখে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তাকে আগামি ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান শিমুলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত ২৩জনসহ নতুন করে শাহীন হোসেন, সালাউদ্দিন মামুন, জহুর আলী, তাহের আলী, মাসুদ রানা, জাফর ইকবাল বাবু ও শ্রীরামপুর গ্রামের কেতাব মোড়লের ছেলেকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
(আরকে/এএস/মে ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test