E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়া

২০১৪ মে ২৯ ০৮:৩৬:৪৫
মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়া

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, র‌্যাবকে এ সরকার নষ্ট করে ফেলেছে, গুম, খুনের সঙ্গে জড়িয়ে যে র‌্যাব পেশাদার খুনি হয়ে যায় সে র‌্যাবের দরকার নাই।

তিনি বলেন, সংস্কার করে র‌্যাব ঠিক করা যাবেনা। মাথা ব্যথা হলে ওষুধ খেলে ভাল হয় এ র‌্যাব ক্যানসার হয়ে গেছে তাই কেটে ফেলতে হবে। খালেদা জিয়া বলেন, আমরা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ও জঙ্গিবাজদের ধরার জন্য র‌্যাব গঠন করেছিলাম, রাজনৈতিকভাবে নেতা কর্মীদের ধরার জন্য র‌্যাবকে পাঠাইনি। র‌্যাব মানেই জনগনের কাছে আজ আতংক। সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম রক্ষায় তিনি আবারও র‌্যাবের বিলুপ্তি চেয়েছেন নতুন কোন বাহিনী গঠনের কথা বলেন।

তিনি আজ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, জলাতংক রুগী পানি দেখলে ভয় পায়, আওয়ামী লীগের জনগন আতংক রোগ হয়েছে তারা জনগন দেখলে ভয় পায়। আমাদের শক্তি জনগন আর তাদের আতংক জনগন। তাই এই জনআতংক সরকারকে ৪২ বছরও ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবেনা।আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে কিন্ত কোন কাজ করেনি, স্বাধীনতার ঘোষনাও তারা দেয়নি।

সে ঘোষণাও জিয়াউর রহমান দিয়েছে। তিনি বলেন বিএনপি রনাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তি। খালেদা জিয়া মাওয়ানা ভাসানীর অবদানের কথা ম্বীকার করে বলেন আজ তার নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। তিনি ছিলেন সাচ্ছা দেশ প্রেমিক আমরা সুযোগ পেলে তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবো।

আওয়ামী লীগ নিজেকে ধর্ম নিরপেক্ষ দল বলে, কিস্তু তারা বলার জন্য বলে, বিশ্বাস করেনা। মুসলমানরা নির্যাতি হয়েছে। শাপলা চত্তরে হত্যাযজ্ঞ চালায়েছিল তাদের হাতে অস্ত্র ছিলনা, হাতে ছির কোরআন শরীফ। হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গেছে, সম্পত্তি দখল করেছে, নির্যাতন করেছে। তারা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গির্জায়, রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করেছে, আওয়ামী লীগের যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করেনি। তাদের হাতে কোন ধর্মই নিরাপদ নয়।তাই আমরা বাংলাদেশী, সব ধর্ম মিলে হাতে হাত রেখে বাংলাদেশকে গড়ে তুলি।

আমরা ভাগ বাটোয়ারা করে নির্বাচনে যেতে চাইনা, জনগনের ভোটে যেতে চাই। ৫ জানুযারির নির্বাচনে কোন ভোট হয় নাই, তাদের অনুগত দল ছাড়া কেউ নির্বাচনে যায় নাই। নির্বাচন চলাকালে কেন্দ্রে কোন মানুষ ছিলনা, কুকুর ছিল। তিনি বলেন জনগন বলেছিল সকল দলের অংশ গ্রহনের নির্বাচন হলে তারা ভোট দিবে। জনগনের অংশ ছিলনা বলে জনগন ভোট কেন্দ্রে যায় নাই। এ সংসদ অবৈধ এ সরকার অবৈধ। জনগনের টাকায় সংসদে মিথ্যাচার আর বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের প্রতি বিশোধগার চলছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক গুম আর খুন করে আসছে। গুম আর খুন হলো আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড। তাদের নীতি হলো জোর করে দখল করা, খুন করা আর অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করা, তারা রক্ষি বাহিনী গঠন করে যে কাজ করেছিল র‌্যাব গঠন করে সে কাজ করাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা। সে জন্য আমরা বলেছি জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে দিতে হবে। আপনারা যতই ভোট দেন ভোট পরবেনা। এজন্য আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করেই তাদের বিদায় করতে হবে।

আদালতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে দুই ধরনের আইন চলছে। সরকারি দলের জন্য এক ধরনের আর বিএনপির জন্য আরেক ধরনের আইন।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ড. ইউনুসকে গ্রামীন ব্যাংক ফিরিয়ে দেয়া হবে। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ড. ইউনুসের মতো লোকদের কাজে লাগানো হবে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা শেখ হাসিনার শুভেচ্ছাপত্রের সমালোচনা করে বেগম জিয়া বলেন, মোদি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি জনগন। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে এখন তাদেরও কাঁদতে হবে, ধরতে হবে জনগনের হাত পা। এই বলে হুশিয়ারি দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, প্রবীণ রাজনীতি বিদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ ভুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুন নবী সোহেল, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সফু, এড. আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল কাদের জুয়েল, আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মীর নেওয়াজ আলী, ঢাকা বারের সভাপতি মহসিন মিয়া, এড. সানাউল্লাহ মিয়া, কাজী আবুল বাসার, শফি বিক্রমপুরী, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপি নেতা এ.কে.এম ইরাদত মানু, আলহাজ্ব মমিন আলী, আবদুল কুদ্দুস ধীরন, শাহজাহান খান, মাহবুবুর রহমান, মনিরুল মনি পল্টন, ইকবাল হোসেন সম্রাট, সিদ্দিকুর রহমান, আমির হোসেন দোলন দেলোয়ার হোসেন, এড. হালিম হোসেন আবদুল আজিম স্বপন, এড. তোতা মিয়া এড. রোজিনা ইয়াসমিন, জাহাঙ্গির হোসেন, গুললজার হোসেন, পাপিয়া ইললাম, আবদুল হাই, হাসান জাহাঙ্গীর, আওলাদ হোসেন উজ্জল, আনোয়ার হোসেন, শাহিন মিয়া, আরিফ আহমেদ

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল হক মিলান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর রিপন মল্লিক ও সিনি. যুগ্ম সাম্পাদক আতোয়ার হোসেন বাবুল।

(এসএইচএল/জেএ/মে ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test