E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বেদনা নিয়েই চলে গেলেন ৭১ এ বুলেট বিদ্ধ গীতা   

২০১৫ ডিসেম্বর ২২ ১৬:১১:৫১
বেদনা নিয়েই চলে গেলেন ৭১ এ বুলেট বিদ্ধ গীতা   

বড়লেখা (মৌলভীবাজার): প্রতিনিধি :মৃত্যুর আগেও আশায় ছিলেন ৭১ এ বুলেট বিদ্ধ গীতা রঞ্জন দাস (৬৯) এই বুঝি শহীদ পরিবারের স্বীকৃতির সংবাদ আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায়তার অপরাধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদাররা পিতা রাজেন্দ্র কুমার দাসের সাথে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় গীতা রঞ্জন দাসকেও। খাখটেকা নামক এলাকায় পিতা রাজেন্দ্র কুমার দাস ও স্থানীয় বাসিন্দা রাজ কিশোর দাসকে গুলি করে হত্যা করে হানাদারা।

এসময় হানাদারদের গুলিতে আহত হন গীতা রঞ্জন দাস। তাঁর বুকে গুলি লাগে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করেন গীতাকে। চিকিৎসার পর সুস্থও হয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু পিতাকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি।

বিজয়ের দীর্ঘ ৪৪ বছরেও এই গীতা রঞ্জনের পরিবারটি সরকারের নিকট অনেক আবেদন নিবেদন করার পরও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি জোটেনি। ১৯৭১ সালের সেই দুঃসহ স্মৃতি বুকে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ইতিহাসের বর্বরতম ঘটনার সাক্ষী গীতা রঞ্জন দাস।

তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউপির সালদিগা গ্রামে। মৃত্যুৎ কালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পারিবারিক শশ্মান ঘাটের তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

মৃত্যুর আগে তাঁর আশা ছিল হয় তো আওয়ামী লীগ সরকার তার পরিবারটিকে শহীদ পরিবারের মর্যাদা দেবে। কিন্তু তার সেই আকুতি সরকার পূরণ করেনি। শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি না পাওয়ার বেদনা নিয়েই গীতা রঞ্জন চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

গীতা রঞ্জনের ভাই ইউপি সদস্য বিপুল কান্তি দাস মিলন বলেন, ৭১ সালে পাকিন্তানিরা বাবাকে হত্যা করেছে। ভাই বুলেট বিদ্ধ হয়ে ছিলেন। সরকারের কাছে অনেক আকুতির পরও আমার পরিবারটি শহীদের মর্যাদা পায়নি। শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি না পাওয়ার বেদনা নিয়েই ভাই চলে গেছেন বিজয়ের মাসেই। এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে আমাদের কাছে।

এদিকে গীতা রঞ্জন দাসের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন এমপি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা: প্রণয় কুমার দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, প্রেসক্লাব সম্পাদক গোপাল দত্ত, সুজানগর ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমরুল ইসলাম লাল, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল মজিদ নিকু প্রমুখ শোক প্রকাশ করেছেন।

(ওএস/এস/ডিসেম্বর২২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test