E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জকিগঞ্জে শেষ হাসি কে হাসবেন, আলোচনায় ৩ প্রার্থী

২০১৫ ডিসেম্বর ২৯ ২৩:২৩:০৪
জকিগঞ্জে শেষ হাসি কে হাসবেন, আলোচনায় ৩ প্রার্থী

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলার, সংরক্ষিত কাউন্সিলার পদে আজ ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণ সকাল আটটা থেকে একটানা বিকাল চারটা পর্যন্ত চলবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় নির্বাচন অফিস।

দ্বিমূখী নির্বাচনের কথা লোকমুখে শুনা গেলেও শেষ পর্যন্ত ত্রিমূখী হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদ (জগ), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক বদরুল হক বাদলের ধানের শীষ ও বর্তমান মেয়র জাপা মনোনিত প্রার্থী আব্দুল মালেক ফারুকের লাঙ্গল প্রতিকের মধ্যে। জগ মার্কার প্রতিনিধি ফারুক আহমদ নির্যাতিত নেতা হিসেবে পৌরসভার ২৪টি গ্রামেই তার ভোটার ও রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক রয়েছেন। তাছাড়া ফারুকের পক্ষে ঢাকা সিটির কাউন্সিলর ও রমনা শাহবাগ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল মনির চৌধুরীর গণসংযোগের পর আওয়ামী ঘরানার ভোটাররা নড়েচড়ে বসেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে নিরব ভোটারদের একটি বড় অংশ ফারুকের পক্ষে যেতে পারে।
বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক বদরুল হক বাদল বিএনপির জনপ্রিয় নেতা। প্রথম দিকে নির্বাচন দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও শেষ মূহুর্তে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াছ আলীর সহধর্মীনী ও কেন্দ্রীয় এবং জেলার নেতৃবৃন্দের গণসংযোগে তিনি ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন। পৌর এলাকার পূবাঞ্চলের ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এ ঘাটিতে বাদল শেষ সময়ে হানা দেয়ায় ভোটের হিসাব নিকাশ পাল্টে গেছে। এসব ওয়ার্ডে আঞ্চলিকতার কারণে বিএনপির পক্ষে প্রকাশ্য কেউ প্রচারণা না করলেও নিরবে ভোট দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্তমান মেয়র আব্দুল মালেক ফারুক বিগত কয়েক বারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁরও জনপ্রিয়তা রয়েছে। তার মূল ভোট ব্যাংক এখনো নিরব রয়েছেন বলে কেউ কেউ বলছেন। বিগত কয়েকবারের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে সহজে কেউ কাবু করতে পারবে না বলে ভোটারদের ধারণা রয়েছে।

নৌকার প্রার্থী হাজী খলিল উদ্দিনও আলোচনায় রয়েছেন। দলীয় প্রার্থী হিসেবে তাকে নিয়ে ভাবছেন ভোটাররা। বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকের কারণে তার ভোট ব্যাংকে প্রভাব পড়েছে। শেষ লড়াই তিনি এগিয়ে থাকবেন বলে তার সমর্থকদের ধারণা। এছাড়া শেষ পর্যন্ত সব প্রার্থীরাই সকল কেন্দ্রে কমবেশী ভোট পাবেন।

উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবাশে^রুল ইসলাম জানান ৯ টি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষা ও সুষ্টভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্যদের উপস্থিতিতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো জকিগঞ্জ পৌর এলাকা। নির্বাচনে ১০৮ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা, নয়টি মোবাইল টিম, ৪টি স্টাইকিং ফোর্স, চারজন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, আনসার সদস্যরা মঙ্গলবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল খলিল উদ্দিন (নৌকা), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ (জগ), জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী আব্দুল মালেক ফারুক (লাঙ্গল), পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক বদরুল হক বাদল (ধানের শীষ), খেলাফত মজলিস মনোনিত প্রার্থী জাফরুল ইসলাম (দেওয়াল ঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী হিফজুর রহমান (মোবাইল ফোন) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯ টি ওয়ার্ডে ৩১ জন কাউন্সিলার ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলার পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকল প্রার্থীই বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এবারের নির্বাচনে ১০ হাজার ৪০৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ১৩৫ ও নারী ভোটার ৫ হাজার ২৭২ জন। ভোটারদের এক চতুর্থাংশই হচ্ছেন নীরব ভোটার। পৌর এলাকার সর্বত্র এখন একই আলোচনা চলছে আজ কে হাসবেন শেষ হাসি? জকিগঞ্জ উপজেলা রির্টানিং অফিসার ও নির্বাহী অফিসার মোবাশ্বেরুল ইসলাম জানান, যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।

জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলার পদে চমক দেখাবেন সাংবাদিক রিপন

জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতিক নিয়ে কাউন্সিলার পদে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার জকিগঞ্জ প্রতিনিধি রিপন আহমদ ভোটারদের মাঝে চমক সৃষ্টি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর ভোট গণনা শেষে সকল ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলারদের মাঝে তিনিই সবচেয়ে বেশী ভোটে কাউন্সিলার নির্বাচিত হবেন। গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ডসহ রিপন সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। গত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলার পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কম সংখ্যাক ভোটে শক্তিশালী প্রার্থী ময়নুল হক রাজুর কাছে হার মানলেও তিনি জনগনের পিছু ছাড়েননি। নিজের জীবনের শুরু থেকেই তিনি জনগনের পাশে থেকে উপলব্ধি করেছেন সুখ দুঃখের ভাগ। লোকমুখে শুনা যাচ্ছে ৩নং ওয়ার্ডে ভোটের দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাংবাদিক রিপন আহমদ। এ বারের নির্বাচনে তিনি ভোটারদের কাছে অন্য প্রার্থীর চাইতে র্শীষে রয়েছেন। পীরেরচক, আনন্দপুর পশ্চিম ও গোপীরচক গ্রাম নিয়ে ৩ নং ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে। এ ওয়ার্ডে ১৫১৫ জন ভোটার রয়েছেন। সাংবাদিক রিপনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বর্তমান কাউন্সিলর ময়নুল হক রাজু (টেবিল ল্যাম্প) প্রতিকে, আওয়ামীলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন (উটপাখি) প্রতিকে ও বিএনপির সমর্থক ব্যবসায়ী মাহতাব আহমদ (পাঞ্জাবী) প্রতিক নিয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার বলেন, আমারা পানির বোতল প্রতিকে রিপন আহমদকে বিপুল ভোট দিয়ে অন্য ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলারদের মধ্যে রিপনের ভোটের সংখ্যা বেশী দেখাবো।

সাংবাদিক রিপন বলেন, সর্বস্থরের ভোটারের ভালোবাসা আমার প্রতি রয়েছে। আমি আমার ওয়ার্ডের সকল জনগনের প্রতি সম্মান রেখে বলছি আমার ভোটারগণ আমার কৃতকর্মের মল্যায়ন দিবেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আমি ওয়ার্ডবাসীর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ।


(এসকপি/এস/ডিসেম্বর২৯,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test