E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঢাকায় আসছে রসালো কাঁঠাল

২০১৪ মে ২৯ ২১:৩৪:১৪
ঢাকায় আসছে রসালো কাঁঠাল

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে রসালো ফল কাঁঠাল। কিন্তু দাম বেশ চড়া। এই মুহূর্তে কাঁঠাল খেতে চাইলে ঢাকাবাসীকে গুনতে হবে একটু বেশি টাকা।

তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ঢাকায় কাঁঠালের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে- এমনটাই মনে করছেন পাইকারী বিক্রেতারা।

সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজার ঘুরে দেখা গেছে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থান থেকে থেকে এসব কাঁঠাল আনা হচ্ছে।

শ্যামবাজারে গিয়ে দেখা যায়, এখানে খুব বেশি কাঁঠাল ওঠেনি। বিক্রেতারা অল্প সংখ্যক কাঁঠাল নিয়ে বসে আছেন।

কাঁঠালের পাইকার সাগর আহমেদ জানালেন, বর্তমানে যে কাঁঠালগুলো দেখছেন সেগুলো চট্রগ্রাম থেকে এসেছে। দাম একটু চড়া। এক-একটি কাঁঠালের পাইকারী দাম ৮০-১০০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা একেকটি কাঁঠাল বিক্রি করেন ১২০-১৫০ টাকা দরে।

তিনি আরো জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যশোর, গাজীপুর ও রংপুর থেকে কাঁঠাল আসা শুরু হবে। তখন দাম একেবারেই কমে যাবে বলে আশা করেন তিনি।

কোন এলাকার কাঁঠাল জনপ্রিয়- এমন প্রশ্নের জবাবে সাগর বলেন, ‘যশোর ও রংপুরের কাঁঠাল সবচেয়ে বেশি মিষ্টি। এ কারণে ঢাকায় এর চাহিদা বেশি। তবে গাজীপুরের কাঁঠাল সবচেয়ে বেশি সরবরাহ করা হয় ঢাকায়। গাজীপুরের কাঁঠাল না আসলে চড়া দামের কারণে কেউ কেউ কাঁঠালই খেতে পারতেন না।’

শ্যামবাজারে ফলে কোনো প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না বলেও দাবি করেন কাঁঠালের এই পাইকার।

প্রায় একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে কারওয়ান বাজারের কাঁঠাল বাজারেও। সেখানে দেখা যায় টাঙ্গাইল ও চট্রগ্রামের কিছু কাঁঠাল নিয়ে বসে আছেন পাইকারী বিক্রেতারা। তারাও আশা করছেন কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে যশোর, রাজশাহী, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ জেলার কাঁঠাল এসে পৌঁছবে বাজারে। তখন কাঁঠাল যেমন পুষ্ট ও সুস্বাদু হবে তেমনি কম দামেও পাওয়া যাবে।

কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আপন জানান, কোনো ধরণের ফরমালিন পাইকারী বাজারে দেওয়া হয় না। বরং খুচরা বিক্রেতারা ফল বেশিদিন রাখার জন্য ফরমালিন ব্যবহার করে থাকেন। কারওয়ান বাজারে প্রায় দিনই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলে। তাই এখানকার কেউ কাঁঠালে কোনো ধরণের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন না বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুর রহমান জানান, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন রসালো ফলের মাস হওয়ায় একটু বেশি বেশি আদালত পরিচালনা করা হবে। যাতে রাজধানীবাসী নিরাপদ ফল-ফলাদির স্বাদ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন কাজী মাহবুবুর রহমান।

(ওএস/এস/মে ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test