E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পরিবারের অসহায়ত্ব জানিয়ে

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মাগুরার সৈনিকের স্ত্রী

২০১৬ জানুয়ারি ০৮ ১৭:৫৩:০১
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মাগুরার সৈনিকের স্ত্রী

মাগুরা প্রতিনিধি : শুধুমাত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ মান্য করতে গিয়েই নারায়নগঞ্জ ৭ খুন মামলায় জড়িয়ে বিনা বিচারে ১ বছর ধরে জেল খাটছেন মাগুরার হাজিপুর গ্রামের সৈনিক (বাধ্যতামূলক অবসর) নুরুজ্জামান নিপু।

আরো কতদিন এভাবে বিচারের আশায় থাকতে হবে তা ভেবে দুটি শিশু সন্তান নিয়ে নিপুর স্ত্রী ফিরোজা হাবিব এখন অসহায় দিন কাটাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ৫ম শ্রেণীতে জিপিএ-৫ পাওয়া তার ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার বিষয়েও শংকা প্রকাশ করেন তিনি।

শুক্রবার এক লিখিত বক্তব্যে ফিরোজা হাবিব জানান- তার স্বামী নুরুজ্জামান ১৯ ডিভ (সা,ব্যাটা) যশোর এ দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ অত্যান্ত সুনাম ও সততার সঙ্গে চাকরী করেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে আদেশে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ’১৪ তারিখে তিনি র্যা ব সদর দপ্তরে যোগদান করেন। সেখানে ট্রেনিং শেষে গত ৬ মার্চ ’১৪তে নারায়নগঞ্জের আদমজিতে যোগদান করেন। ওই বছর ১৩ এপ্রিল তার নারায়নগঞ্জ ক্যাম্পে পোষ্টিং হয়। সেখানে তিনি কোত ডিউটি, গেট ডিউটি পালন করেন। নারায়নগঞ্জ পোষ্টিং এর মাত্র ১৩ দিনের মাথায় ২৭ এপ্রিল সেখানে মর্মান্তিক ৭ খুনের ঘটানা ঘটে। ওইদিন নুরুজ্জামান শুধুমাত্র সাধারণ টহলের দ্বায়িত্বেই ছিলেন। এ সময় ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনাসমূহের সাথে নুরুজ্জামান কোনক্রমেই জড়িত ছিলেন না বলে তিনি দাবী করেন। ১০জুন ’১৪ তারিখে কোনপ্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা না দিয়েই নুরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি বাড়িতে চলে আসেন। ওই বছর ২ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ তাকে মাগুরা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর ১ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই মামলার কোনপ্রকার অগ্রগতি হয়নি। মামলার ধীরগতির কারণে তার স্বামীর জামিন কিংবা দ্রুত রায় পাওয়ার কোন সম্ভবানই দেখতে পাচ্ছেন না তিনি ।

ফিরোজা জানান- দুই ছেলে নিয়ে আমারা এখন অসহায় দিন কাটাচ্ছি। নৌবাহিনী এবং পুলিশের সদস্যরা এখনও বেতন পাচ্ছেন। তিনি বলেন- আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যাৎ কি? আমার বড় ছেলে মোঃ ফাহিম বিন জামান এবার পি, এস, সি পরিক্ষায় (গাল্ডেন) এ+ পেয়েছে। আমি কিভাবে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাব? ছোট ছেলেটি মাত্র ৪ বছরের। সবচেয়ে বড় কথা কি অপরাধে আমার স্বামীর এই অবস্থা সেটাইতো জানলাম না। র্যা ব থেকে বা সেনাবাহিনী থেকে তার নাম অপরাধের তালিকায় ছিলো না। চার্জশিটেও শুধু টহল এর নাম এসেছে। কিন্তুু ঘটনার ৮ মাস পর ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। একজন সৈনিককে যদি অন্যের অপরাধে শাস্তি পেতে হয় তাহলেতো কোন সৈনিক তার উদ্ধতন কর্মকর্তার আদেশ মানবে না। আমি ও আমারা নাবালক সন্তানরা ঘটনার সঠিক বিচার এবং আমার নির্দোষ স্বামীর দ্রুত সঠিক বিচার শেষে মুক্তি ও তার যোগ্য পাওনা ফেরত চাই।

ফিরোজা বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একান্তভাবে জানাতে চাই আমার স্বামী যদি দোষী হয়ে থাকেন তবে তাকে শাস্তি দেয়া হোক। কিন্তু বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি যেন জেলে থাকতে বাধ্য না হন এই ব্যবস্থাটি অন্তত করুন। আমার অসহায় শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনার কাছে এই আমার একমাত্র অনুরোধ।

(ডিসি/এইচআর/জানুয়ারি ০৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test