E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে দ্রুত বিচার আইনের মামলা, আসামী না পেয়ে পুলিশের তাণ্ডব

২০১৬ জানুয়ারি ১৫ ১৫:১৩:১৫
গৌরীপুরে দ্রুত বিচার আইনের মামলা, আসামী না পেয়ে পুলিশের তাণ্ডব

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ধারাকাান্দি গ্রামে বৃহস্পতিবার পুলিশ একটি দ্রুত বিচার আইনের মামলার আসামী ধরতে গিয়ে আসামীদের না পেয়ে বাড়ি-ঘরে হামলা, আসবাবপত্র ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের খাবার বন্ধ করতে চুলাও ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিড়া-মুড়ি আর শুকনো খাবারে কাটছে ২০টি পরিবারের শতাধিক মানুষের জীবন। 

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ভুটিয়ারকোনা বাজারে ২৯ ডিসেম্বর বিকালে মো. রফিকুল ইসলাম ফরিদের পুত্র আরিফ হাসান রবি (২১) এর মনোহারী দোকানে ২০/২২জন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জনমনে ত্রাসের সৃষ্টি করে দোকান ঘর ভাংচুর করে ৫০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন ও ২লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ধারাকান্দি গ্রামের মৃত ইব্রাহীমের পুত্র মোঃ খোরশেদ আলী (৫০), মো. আব্দুল লতিব মিয়া (৫৫), খোরশেদ আলীর পুত্র মো. এনামুল হক (২৮), মৃত সাহেদ আলীর পুত্র মো. সবুজ মিয়া (৩০), মো. লিটন মিয়া (২৮), মো. শহীদ মিয়া (৩৫), মৃত নেকবর আলীর পুত্র মোঃ কালাম মিয়া (৪০), মো. এন্ট্রেস মিয়া (৪৫), মৃত অলির পুত্র মো. খোকন মিয়া (৩০), মো. রোকন মিয়া (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৫), মো. সোহেল মিয়া (২২), মো. শফিউল্লাহর পুত্র মো. রাসেল মিয়া (৩০)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০জন আসামী করে পুলিশ আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইন ২০০০ (সংশোধন ২০১৪) এর ৪/৫ধারা তৎসহ দ.বি ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩৮০/ ৪২৭/ ৫০৬/ ৩৪ধারা মামলা নেন। মামলা নং ৬, তারিখ ১২/০১/১৬ইং।

মো. আরিফ ইসলাম রবি জানান, আমি মূলত ছাত্র। গৌরীপুর সরকারি কলেজের হিসাবরক্ষণ বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষে লেখাপড়া করছি। মৃত নওশের আলীর পুত্র রবির চাচা শফিকুল ইসলাম রতন জানায়, রবির নিজস্ব কোন দোকান নেই, সে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। তার ঘরে ভাড়াটিয়া লিমনের মনোহারী দোকান ছিল।

পুলিশের দ্রুত বিচার আইনের মামলা নিয়ে সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্দ। ধারাকান্দি গ্রামে আসামীদের না পেয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, রান্নার চুলা ভেঙ্গে দেয়া, লেপ-কাঁথা পানিতে ফেলা দেয়ার অভিযোগ করেন মৃত আব্দুল গণির পুত্র আবুল কাসেম (৬০)। মামলার আসামী খোকনকে না পেয়ে মাত্র ৭দিনের শিশু সন্তানকে নিয়ে আতুঁড় ঘরে শুয়ে থাকা খোকনের স্ত্রী হাওয়া আক্তারকেও মানসিক চর্টার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের ওই তাণ্ডবের কারণে বুটের শব্দ শোনলেই আতঙ্কে উঠেন বলে জানান জুয়েলের মা রেজিয়া খাতুন। আসামী ধরার জন্য ব্যাপক তল্লাশী চালানোর কথা স্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. দেলোয়ার হোসাইন জানান, বাড়ি-ঘরে হামলা ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ সত্য নয়।

এ বিষয়ে গৌরীপুর সার্কেলের এএসপি আখতারুজ্জামান পিপিএম বলেন, বিষয়টি দেখছি। গৌরীপুর থানার ওসি মো. আখতার মোর্শেদ জানান, পুলিশ আসামী ধরতে গেছে ভাংচুর করতে নয়।

(এসআইএম/এএস/জানুয়ারি ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test