E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক পিপিএম বিপিএম পদকে ভূষিত

২০১৬ জানুয়ারি ২৬ ১৮:২৩:৫৭
পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক পিপিএম বিপিএম পদকে ভূষিত

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক, পিপিএম মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত পুলিশ সপ্তাহ/২০১৬ অনুষ্ঠিত বার্ষিক কুচকাওয়াজে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বচ্চো পদক বিপিএম সেবা (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পুরস্কারে ভূষিত করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় বিভিন্ন কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য বিশেষ করে সন্ত্রাস এবং নাশকতা প্রতিরোধ, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক বিরোধী অভিযানে সফল নেতৃত্ব, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ এই বিপিএম সেবা পদক প্রদান করা হয়। ইতোপূর্বেও তিনি পুলিশ বাহিনীতে কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য আইজিপি পদক (IGP’s Exemplary Good Services Badge), বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট মেডেল(পিপিএম) সেবাসহ তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র পুলিশ সুপার হিসাবে ডিজিটাল এ্যাওয়ার্ড পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বিগত ২০০৮ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে বিচক্ষণতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য শান্তি পদকে ভূষিত হন। তিনি তার কর্মস্থল নওগাঁ জেলাসহ বগুড়া, জয়পুরহাট ও তার জন্মস্থান পাবনা জেলার মুরুব্বীদের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

মোজাম্মেল হক বিগত ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করেন। জয়পুরহাট জেলায় কর্মকালীন সফলতার সঙ্গে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার করনের মাধ্যমে পুলিশ জনতার সেতুবন্ধন রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এসময় জয়পুরহাট জেলার কালাই থানা এলাকায় কতিপয় গ্রামে অবৈধ এবং অমানবিকভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কিডনী পাচারের ঘটনা ঘটানোর সংগে জড়িত চক্রের সকল হোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত ও ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়েছে। এই সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে ২০১২ সালে জানুয়ারি মাসে পুলিশ সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি পুলিশ ইউনিটের মধ্যে দ্বিতীয় হিসেবে পিপিএম পদক প্রদান করা হয়। ২৭/০১/২০১২ তারিখে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে বগুড়া জেলায় যোগদান করেন। বগুড়া জেলায় সন্ত্রাস, নাশকতা প্রতিরোধসহ আইন-শৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে সফলতার জন্য সরকারসহ সকল মহল কর্র্তৃক প্রশংসা অর্জন করেন তিনি। তিনি বদলি সূত্রে গত ০৩/০৬/২০১৫ তারিখে পুলিশ সুপার হিসেবে নওগাঁ জেলায় যোদান করেন।

এখানে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি গনমূখি পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলার মাদক, সন্ত্রাস, নাশকতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন।

মোঃ মোজাম্মেল হক ১৯৬৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া থানাধীন কাশীপুর গ্রামে নানার বাড়ীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবাবে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল জব্বার বিশ্বাস এবং মাতার নাম মোমেনা বেগম। তিনি শাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তিসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে মুলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণকালে ৮ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুল বৃত্তিলাভ করেন।

১৯৮৪ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে চাটমোহর ডিগ্রী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে ভর্তি হন। ১৯৯২ সালে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে ডিভিএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একই প্রতিষ্ঠানে এমএস কোর্সে ভর্তি হন।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পূর্বে তিনি ১৯৯৪ সালে ভ্যাটেনারী সার্জন হিসাবে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানায় চাকুরিতে যোগদান করেন। অতঃপর তিনি একই পদে চাকুরিকালে ১৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগের জন্য মনোনীত হন। কিন্তু অনিবার্য কারণ বশতঃ তিনি চাকুরিতে যোগদান না করে ঈশ্বরদী উপজেলায় বদলী হন।

ঈশ্বরদীতে চাকুরি করাকালে পুনরায় তিনি ১৮তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রী সুলতানা হক (কণা) একজন সুগৃহিনী। তিনি মেধাবী দুই কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।

(বিএম/এএস/জানুয়ারি ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test