E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে শহীদ হারুন দিবস পালিত

২০১৬ জানুয়ারি ২৭ ২০:০৩:৩৯
গৌরীপুরে শহীদ হারুন দিবস পালিত

গৌরীপুর প্রতিনিধি :ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) শহীদ হারুণ দিবস উপলক্ষে হারুন স্মৃতি পরিষদ ও গৌরীপুর সরকারি কলেজের উদ্যোগে প্রভাত ফেরি, আলোচনা সভা ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

হারুন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার আব্দুর রহিম, ডেপুটি কমা-ার মো. নাজিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সংগীত নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল হাই প্রমুখ।

৬৯’র গনঅভ্যুত্থানের এই দিনে (২৭ জানুয়ারি) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন গৌরীপুর কলেজের ছাত্র আজিজুল হক হারুন। ‘জয় বাংলা, তুমি কে আমি কে, বাঙালী বাঙালী, জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো, ৬দফা-১১দফা মানতে হবে-মেনে নাও এই শ্লোগানে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিলটি মধ্যবাজারে আসামাত্রই কন্ঠরোধ করতে পুলিশ গুলি চালায়। গণঅভ্যূত্থানে শহীদ আসাদ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও আজও হারুনের স্বীকৃতি মিলেনি।

শহীদ হারুনের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ছামারুল্লাহ গ্রামে। মিয়া বক্স সরকারের পুত্র হারুনদের ৬ ভাই, ৩ বোন। নান্দাইল-আঠারবাড়ি সড়কের পাশেই চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন। জরাজীর্ণ কবরটি এলাকার লোকজনের সহায়তায় কিছু ইট দিয়ে ঘেরাও করে রাখা। কবরের পাশে এসে এখন আর কেউ হারুনকে স্মরণ করেন না।

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১দফা আন্দোলনের সময় ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট এর ছাত্র মতিউর রহমান পুলিশের গুলিতে শহীদ হলে সারা দেশে ছাত্র আন্দোলনের নতুন মাত্রার যোগ হয়। আর এই বিক্ষোভের জের ধরেই ১৯৬৯ সালের ২৭ জানুয়ারী গৌরীপুর শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ জারি করে পুলিশ। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেই গৌরীপুর কলেজ থেকে ছাত্ররা একটি মিছিল বের করে। গৌরীপুর কলেজের তৎকালীন ভিপি ও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক জানান, ওই মিছিলে আরকে উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে অংশ গ্রহণ করে। মিছিলটি শহরের মধ্যবাজারে আসা মাত্রই তৎকালীন মহকুমার প্রশাসক এম, এ সামাদের নির্দেশে মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ওই সময় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মেধাবী ছাত্র আজিজুল হক হারুন। সে দিন ছিল সোমবার সকাল ১১ টা।

পরিবার সূত্র জানায়, হারুনের ছোট ভাই শফিকুল আলম চাঁন মিয়া তখন পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গৌরীপুর গেলেও কোন পরিচয় না দিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে পুলিশ লাশ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। এর তিন দিন পর ময়মনসিংহ থেকে মুচিলেখা দিয়ে ভাইয়ের লাশ নিয়ে নান্দাইলে আসে এবং পুলিশি প্রহরায় লাশ দাফন করা হয়। ঘটনার ৪৩বছর পর সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ২০১২সনে হারুনের স্বীকৃতিতে ‘শহীদ হারুন স্মৃতি সৌধ’ নির্মাণ করেন। তবে এখন পর্যন্ত হারুনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মিলেনি।


(এসআইএম/এস/জানুয়ারি২৭,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test