E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

২০১৬ জানুয়ারি ২৯ ১৬:১৬:৩৮
যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন এলাকা এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। এই ইউনিয়নের প্রায় ২২হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই একমাত্র বাঁশের সাঁকো।

আধুনিক যুগে এসেও ওই ইউনিয়নের মানুষ বড়ই অবহেলিত। স্বাধীনতার ৪৪বছর পেরিয়ে গেলেও ছোট যমুনা নদীর ওপর দিয়ে পারাপারের জন্য আতাইকুলা-কুজাইল নামক স্থানে নদীর ওপর একটি ব্রীজের দাবি এলাকাবাসীর অনেকদিনের। শুধু একটি ব্রিজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো ও নৌকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর, বড়খোল, জালালাবাদ, বৈঠাখালী, হরিশপুর, কনৌজ, আতাইকুলা, মিরাটসহ ১১টি গ্রামের প্রায় ২২ হাজার বাসিন্দা। বর্ষা কালে নৌকোয় নদী পারাপার হলেও পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের সাঁকোই এখানকার একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। যা এলাকাবাসীসহ বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে নদী আর বিল বেষ্টিত অবহেলিত ইউনিয়ন মিরাট। বছরের বেশি সময় ধরে বন্যার পানি চারিদিকে থৈ থৈ করে। পারিবারিক প্রয়োজনে তখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকো। কিন্তু শুস্ক মৌসুমের শুরুতেই বিলের পানি কমতে থাকায় পানি-কাদার মধ্যে পায়ে হেঁটেই উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় নওগাঁর এই ছোট যমুনা নদী পার হয়ে যেতে হয় এলাকাবাসীর । নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকো চলাচল বন্ধ থাকায় আতাইকুলা-কুজাইল নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়েছে। উপজেলার সবচেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত এই মিরাট ইউনিয়নে যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ নেই। এখানকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সামগ্রী বাজারজাত করতে না পারায় নায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। অথচ এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে রাণীনগরের ধান চালের বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে খ্যাত কুজাইল বাজার ও একই সঙ্গে আতাইকুলা বৈধ্যভূমিসহ (গণকবর) মিরাটে যাতায়াতের অনেক সুবিধা হবে।

আতাইকুলা গ্রামের শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল জানান, ঝড়-বৃষ্টি বন্যার সময় অনেক কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকো কিংবা এই বাঁশের সাঁকোতে পার হয়ে স্কুলে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাই এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে এই ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসি উপকৃত হবে। আতাইকুলা গ্রামের শহীদ পরিবারের সদস্য গৌতম পাল জানান, এই নদীর ওপর একটি ব্রীজের অভাবে আতাইকুলা গণকবর দেখতে আসা দর্শনার্থীদের অনেক অসুবিধা হয়। আমরা শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরেই ছোট যমুনা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মানের দাবি করলেও সংশ্লিষ্ট কোন মহলেরই সাড়া মেলেনি।

মিরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন জানান, উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য আতাইকুলা-কুজাইল নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে ইউনিয়ন বাসিসহ আশেপাশে সর্বসাধারণের জীবন যাত্রার মান বদলে যাবে। তাই এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হোক।

(বিএম/এএস/জানুয়ারি ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test