E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় চাঁদা না পেয়ে পুকুরের মাছ লুট, বাড়িতে অগ্নি সংযোগ আহত ৪

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৭:৪৯:০৯
নওগাঁয় চাঁদা না পেয়ে পুকুরের মাছ লুট, বাড়িতে অগ্নি সংযোগ আহত ৪

নওগাঁ প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের কোষবাপাড়া গ্রামে জনৈক গোলাম কাদের খাজার লিজকৃত পুকুর থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলা চালিয়ে ওই পুকুরের পাহারাদারের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও মহিলাসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাছ মারার জাল ও একটি চার্জার ভ্যান জব্দ করেছে।

পুকুরের মালিক গোলাম কাদের খাজা জানান, গত বাংলা ১৪২২ সালে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ১ একর ৬২ শতাংশ পরিমাপের ওই পুকুরটি বাৎসরিক ৪৬ হাজার টাকায় ৩ বছরের জন্য লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছেন। এর পর থেকেই উপজেলার একই ইউনিয়নের রাতোয়াল গ্রামের আলমগীর চৌধুরীর ছেলে খান চৌধুরী আলী আজম ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছেন। কিন্তু শুরু থেকেই সেই টাকা দিতে পুকুর মালিক খাজা অস্বীকৃতি জানালে, তাকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখায়। এরই এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে আলী আজম স্বদলবলে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ মারা শুরু করেন। এ সময় পুকুরের পাহারাদার জাহের আলী শেখ ও তার স্ত্রী সন্তান বাধা দিতে গেলে তাদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে তাদের কুপিয়ে যখম করা হয়। কিছু পরে জাহের কৌশলে মোবাইলফোনে খাজাকে ঘটনাটি জানায়। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পাহারাদার জাহের আলীসহ ৪ জনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে পুকুর পাহারাদার জাহের আলী বলেন, প্রতি দিনেরমত রাতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে খান চৌধুরী আলী আজমসহ প্রায় ২০ জনের এক দল লোক পুকুরে মাছ মারা শুরু করে। এ সময় তাদের সঙ্গে মাছ মারার জাল, বাঁশ ও মাছ পরিবহনের জন্য প্রায় ১৪টি চার্জার ভ্যান ছিল। জাহের বলেন, তাদেরকে মাছ মারতে নিষেধ করলে তার স্ত্রী রেশমা, মেয়ে জেমি ও ছেলে আব্দুল আজিজকে মারপিট শুরু করে আজমের লোকজন। এক পর্যায়ে তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। কিছু পরে জাহের আলী কৌশলে পালিয়ে পুকুর মালিক খাজাকে খবর দেয়।

তবে খান চৌধুরী আলী আজম জানান, আমি মাছ মারা, হামলা ও বাড়িতে অগ্নি সংযোগ এর কোনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তবে পৈত্রিক সূত্রে পুকুরটির মালিক আমরা। পুকুরটির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।

এ ব্যাপারে রানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ খান জানান, পুকুরের মালিকানা ও মাছ ধরা নিয়ে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাছ মারার জাল, দড়ি, বাঁশ ও একটি চার্জার ভ্যান জব্দ করেছে। তবে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই মামলা নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

(বিএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test