E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পীরগঞ্জে সাব-রেজিষ্ট্রারকে অনুরোধ করেও সমিতির চাঁদা কমলো না!

২০১৬ মার্চ ১৪ ১২:১৬:৪১
পীরগঞ্জে সাব-রেজিষ্ট্রারকে অনুরোধ করেও সমিতির চাঁদা কমলো না!

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :পীরগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার ও দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করেও দলিল লেখক সমিতির ১৪ হাজার টাকা কমানো গেল না। ফলে বাধ্য হয়েই পুরো টাকা বুঝে দিলেন এক জমি ক্রেতা। গতকাল রোববার উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার পুত্র ওয়াহিদুল ইসলামসহ ৩ জন তাদের ক্রয়কৃত জমির দলিল করতে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসেন। এ সময় দলিলের জন্য সরকারী বিভিন্ন ফিস্, ষ্ট্যাম্প, পৌরসভার উৎস কর ও দলিল লেখকের (মোহরার) জন্য ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা খরচ দেয়া হলেও দলিল লেখক সমিতির জন্য ওই দলিলে ১৪ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ব্যাপারে ওই ক্রেতা চাঁদার টাকা ছাড়াই সাব-রেজিষ্ট্রারকে দলিল সম্পাদনের অনুরোধ করেন। তিনি না শুনলে ওই ক্রেতা দলিল লেখক সমিতির সম্পাদক তৈয়বুর রহমান উত্তাল মিয়ার কাছে গেলে তাতেও কোন উপকার হয়নি বলে ক্রেতা ওয়াহিদুল ইসলাম জানান।

এ ব্যাপারে সমিতির সম্পাদক তৈয়বুর রহমান উত্তাল মিয়ার সাথে মোবাইলে কথা হলে জানান- সমিতির নির্ধারিত খাতের টাকা না দিলে সাধারণতঃ দলিল সম্পাদন করা হয় না। কারণ এই টাকায় অনেক হিসাব রয়েছে। দলিল লেখক মাহবুবার রহমান বলেন- সমিতির নির্দিষ্ট টাকা না দিলে দলিল সম্পাদন আটকে থাকে।

ক্রেতা ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন- ১৫ লাখ টাকার দলিলে সরকারি খরচ প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। অথচ আমাকে বাধ্য করে ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। সাব-রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন- দলিলের সরকারী খরচ মোট টাকার ৯ শতাংশ হারে সরকারি খাতে জমা হয়ে থাকে। এর অতিরিক্ত খরচ নিলে আমার কিছুই করার নেই। ওটা সমিতির ব্যাপার।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রধান বলেন- যেটা চাঁদা ধরা হয়েছে, তার কোন কমানো যাবে না। এতে দলিল হোক আর না হোক।

উল্লেখ্য, পীরগঞ্জ পৌর সভার আওতায় ধনশালা গ্রামের আব্দুল হালিম মিয়া ৮ শতাংশ জমি উল্লেখিত ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন। ওই দলিলে ১৫ লাখ টাকা কবলা মুল্য দেখানো হয়েছে।




(জিকেবি/এস/মার্চ১৪,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test