E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

রাণীশংকৈলে শিক্ষার্থী কৃর্তক উপজেলা ও থানা ঘেরাও

২০১৬ মার্চ ১৫ ১৭:৫৬:২১
রাণীশংকৈলে শিক্ষার্থী কৃর্তক উপজেলা ও থানা ঘেরাও

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কাতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ে জমি বিরোধের জের ধরে এবং জোর পূর্বক জমি দখল করতে গেলে বাধা প্রধানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ মোট ৫জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পুলিশের উপস্থিতিতেই আমাদেরকে মারপিট করে ভূমিদূস্যরা।

প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানা যায়, কাতিহার উচ্চ বিদ্যালয়টি ২একর ১০ শতক জমি নিয়ে ১৯৭২ ইং সালে স্থাপিত হয় এরপর থেকেই স্কুলটি ভালভাবেই চলছে। সম্প্রতি ঐ স্কুলের জমি নিয়ে কাতিহার গ্রামের নাসিরউদ্দীনের সাথে স্কুলের বিরোধ লাগে নাসির উদ্দীন কথা তিনি ক্রয় সূত্রে প্রায় ৪০ শতক জমির মালিক তাই সে স্কুলের কাছ থেকে তার জায়গা চাই। এ নিয়ে একাধিকবার এসিল্যান্ড অফিস, থানা প্রশাসনে এস আই রেজার তত্বাবধানে সমাধানের চেষ্টা করা হয়, এছাড়াও এসিল্যান্ড অফিসে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ মার্চ স্কুল চলাকালীন নাসিরউদ্দীনের বিশাল ক্যাডার বাহিনী স্কুলের জায়গা জোর পূর্বক দখলের জন্য সে নিজে সীমানা নির্ধারণ করে ইটের প্রাচী নির্মাণ করছিলো।

এ সময় প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির থানায় ফোন দিলে এস আই রেজা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তখন প্রধান শিক্ষক হুমায়ন সহ অন্যান্য শিক্ষকরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাসিরউদ্দীনের বিশাল ক্যাডার বাহিনী পুলিশের উপস্থিতিতেই শিক্ষক হুমায়ন কবিরের উপর মারপিট শুরু করে মারপিট থেকে শিক্ষক হুমায়নকে বাচাতে গেলে প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য আনোয়ার হোসেন, নবম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল আলিম,রিতা,খুশিকেও মারপিট করে নাসিরউদ্দীন গং। পরে প্রশাসনের নড়বড়ে অবস্থা এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে মারপিট করার প্রতিবাদে স্কুলের সমস্ত শিক্ষার্থীরা বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ ও থানা কার্যালয় ঘেরাও করে। এবং প্রশাসনের বিরুদ্বে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। অবস্থা অনুকুলের বাইরের বুঝতে পেরে ইউএনও খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান শিক্ষার্থীদের থানার মধ্যে রেখেই স্কুলে গিয়ে নির্মাণাধীন কাজ বন্দ করে দিয়ে নাসিরউদ্দীনের ছেলে আঃ রাজ্জাক,আজিজুরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, আব্বাস আলী, আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী শিমু পারভীনকে পুলিশ দিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর শিক্ষার্থীরা থানা কার্যালয় ছেড়ে দেয়। ইউএনও খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন, বিষয়টি সঠিক সুরাহার জন্য সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

(কেএএস/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test