E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ

২০১৬ মার্চ ১৭ ১৪:৪৫:৫৩
সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ইউপি নির্বাচন স্থগিতকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্যাবল নেটওয়ার্কের অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বর্তমান আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সৌপ্তিক আহমেদ মিঠু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করে। আজ সকালে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থি নবিদুল ইসলামের সমর্থকরা কড্ডার মোড় এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান সৌপ্তিক আহমেদ মিঠুর বাসায় হামলা চালায়। এ সময় উভদলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে সাত জন আহত হয়। এদের মধ্যে মেম্বর প্রার্থী আব্দুল মমিন, সিরাজুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে কড্ডা এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়ি, একটি বেসরকারী হাসপাতাল, ক্যাবল নেটওয়ার্কের অফিস ভাংচুর করা হয়।

সয়দাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৌপ্তিক আহম্মেদ মিঠু জানান, গত বছর সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনমাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন আদালত। এ কারণে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নবিদুল ইসলাম ও তার সমর্থকেরা কড্ডার মোড়ে আমার বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সাথে নবীদুলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নবীদুল ইসলাম জানান, নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের বাড়ীতে হামলা চালায়। কিন্তু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর উল্টো আক্রমণ চালালে ৭জন আহত হয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, নির্বাচন কমিশন সকালে টেলিফোনে সয়দাবাদ ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হওয়ার হাইকোর্টের নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, নির্বাচন স্থগিত হওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

(এসএস/এস/মার্চ১৭,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test