নন্দীগ্রামে স্কুল পড়ুয়া নববধুকে ধর্ষণ : লম্পট গ্রেফতার

নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্কুল পড়ুয়া এক নববধুকে(১৫) মুখে গামছা পেঁচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এক লম্পট যুবক। প্রতিবাদ করায় উল্টো ধর্ষিতাসহ স্বামী, শ্বশুর ও ধর্ষিতার পিতাকে মারপিট করে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে ধর্ষকের পবিরারের লোকজন।

গত শনিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের ওমরপুর গুন্দইল গ্রামে এঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে একটি মহল। ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপের মুখে মোটাংকের টাকার মিনিময়ে মীমাংসার প্রস্তুতিকালে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করাসহ লম্পট ধর্ষক লিটন চন্দ্র মহন্তকে(২৬) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে গুন্দইল গ্রামের নিশিচন্দ্র মহন্তের ছেলে।

এঘটনায় ওইদিন রাতেই ধর্ষিতা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।

এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, গুন্দইল গ্রামের বাদাম বিক্রেতা খোকা চন্দ্র মহন্তের মেয়ে সুমি রানী(১৫) ওমরপুর সতীশ চন্দ্র কারিগরি স্কুল এন্ড বিএম কলেজে ৭ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। সম্প্রতি একই গ্রামের অটোভ্যান চালক সুমন চন্দ্রের সাথে পারিবারিক সম্বন্ধে বিবাহ হয়। বিয়ের পরেও সুমি রানী পড়াশুনা করছিল। স্কুলে যাওয়ার পথিমধ্যে ওই নববধুকে প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই গ্রামের লম্পট লিটন। একপর্যায়ে গত শনিবার দিবাগত রাত ৮টা দিকে স্কুল পড়ুয়া নববধু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে এলে পূর্ব থেকেই ওঁৎপেতে থাকা লম্পট লিটন চন্দ্র ওই নববধুকে জাপটে ধরে বাড়ির বারান্দার চৌকির উপরে ফেলে মুখে গামছা পেঁচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছিল। নববধুর ধস্তাধস্তি ও মুখের গংরানী শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে লম্পট ধর্ষক পরনের লুঙ্গি ফেলে উলঙ্গ অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে স্থানীয় জনতা তাকে হাতেনাতে আটক করে।

ধর্ষিতার স্বামী সুমন চন্দ্র জানায়, আমি অসুস্থ্য থাকায় সন্ধ্যা রাতেই ঘুমিয়ে পড়ি। বাড়ির বাহিরে গংরানী ও ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে ঘরের বাহিরে এসে দেখি আমার স্ত্রীর মুখে গামছা পেঁচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে লম্পট লিটন। আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে লম্পট লিটনকে হাতেনাতে আটক করে। এখবর পেয়ে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা একজোট হয়ে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত মারপিট করাসহ বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লম্পট লিটনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে প্রভাবশালীরা আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে বিষয়টি নিরসনের জন্য পৌর শহরের পুরাতন বাজারে জনৈক ব্যক্তির অফিসে নিয়ে যায়। আমরা মীমাংসায় রাজি না হওয়ায় প্রভাবশালী ও ধর্ষকের পরিবারের লোকজন আমাদের মারপিট, গ্রামছাড়া করাসহ খুন জখমের হুমকি দেয়।

এখবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে থানার ওসি হাসান শামীম ইকবালের নেতৃত্বে সেকেন্ড অফিসার মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুরাতন বাজারের জনৈক ব্যক্তির অফিস থেকে ধর্ষিতা নববধুকে উদ্ধার করাসহ লম্পট ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।


(এমএনআই/এস/এপ্রিল০৩,২০১৬)