E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালকিনিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের প্রধান আসামী পেল নৌকা

২০১৬ এপ্রিল ০৪ ১৫:৫৪:৪৩
কালকিনিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের প্রধান আসামী পেল নৌকা

মাদারীপুর প্রতিনিধি :নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৪র্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুরের প্রধান আসামী বিএনপি থেকে সদ্য যোগদানকারী মো. তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয়, মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৮ জুন ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক বেপারীর উপর অতর্কিত হামলা চালাতে ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর, ৪ টন গম লুট ও আসবাবপত্র ভাংচুরের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে।

এতে কালকিনি থানায় ইউনিয়নের সচিব মো. আবুল কালাম একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৯৭/২০১১। মাদারীপুর জেলা আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
এছাড়াও ১৯৯৩ সালের একটি হত্যা মামলায় সে সাজা খেটেছেন। মামলা নং ৩০/৯৩।
তাছাড়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বাবা গেন্দু কাজী জন্মের পর থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

গেন্দু কাজীর বাবা মো. জুলফিকার আলী ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পিচ কমিটির সদস্য ছিলেন। গেন্দু কাজী গত প্রায় ৬ মাস আগে আওয়ামীলীগে যোগদান করলেও তার ছেলে কাজী মুরাদ হোসেন ছাত্রদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেনি।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মালেক হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক আ. হাকিম হাওলাদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আনিচ সরদারসহ একাধিক নেতাকর্মী জানান, তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন ঠিকই কিন্তু তার ছেলে মুরাদ কাজী এখনো ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আছে।

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি মো. মজিবুর রহমান বলেন, তৃনমুল আওয়ামী লীগের ভোটে আমি গেন্দু কাজীর চেয়ে ভোট বেশি ছিলাম। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী। আর গেন্দু কাজী ৭১ সালের পিচ কমিটির সদস্য জুলফিকার আলী কাজীর ছেলে হয়ে সে পায় নৌকার মনোনয়ন। কি হবে রাজনীতি করে?

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর ব্যবহৃত মোবাইল নান্বারে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।




(এএসএ/এস/এপ্রিল০৪,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test