E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজৈরে ৫ দিন নির্যাতনের পর তরুণী উদ্ধার, বিয়ের প্রতিশ্রুতি

২০১৬ এপ্রিল ২০ ১৭:২৩:২৪
রাজৈরে ৫ দিন নির্যাতনের পর তরুণী উদ্ধার, বিয়ের প্রতিশ্রুতি

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার আমগ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একটানা ৫ দিন অনশনের সময় নির্যাতনের শিকারের ঘটনার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুলিশ ঐ তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

এই ঘটনায় পুলিশ বিদ্যুৎ কির্ত্তনীয়া (৩৬) নামে একজনকে আটক করেছে। এ সময় ছেলের পরিবারের লোকজন ঐ তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, তরুণী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক তরুণীর সাথে রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের শিশির কির্ত্তনীয় নামের এক স্কুল শিক্ষকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এক পর্যায়ে তরুণীর সাথে দৌহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে শিশির বিয়ে করতে অপরাগত প্রকাশ করে।

এতে তরুণী নিরূপায় হয়ে শুক্রবার সকালে শিশিরের বাড়িতে দিয়ে বিয়ের দাবী তোলে অনশন অবস্থান শুরু করে। এসময় শিশিরের বড় ভাই বিদ্যুৎ কির্ত্তনীয়াসহ বাড়ির লোকজন ঐ তরুণীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

পরে বিষয়কটি নারী উন্নয়ন সংস্থা নকশি কাথার নির্বাহী পরিচালক আয়শা সিদ্দিকা ও সাংবাদিক খোন্দকার রুহুল আমিন, বিনয় জোর্য়াদারসহ স্থানীয়রা মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কণাকে জানান।

খবর পেয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজৈর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ রাতেই এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিদ্যুৎ কির্ত্তনীয়াকে আটক করেছে। পরে ছেলের পরিবার থেকে ঐ তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদা আক্তার কণা জানান, ‘একটানা ৫ দিন ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ওই তরুনী নির্যাতন করা হয়েছে। বিষয়টি শোন মাত্রই আমি ছুটে আসি। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে অভিযুক্ত বিদ্যুৎ কির্ত্তনীয়া আটক করেছে পুলিশ।’

তিনি আরো জানান, বুধবার রাতে ছেলে পক্ষ ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ওই ছেলে ও মেয়েকে সামাজিকভাবে বিয়ে দিবে বলে আমাকে প্রতিশ্র“তি দেয় ।

রাজৈর থানার এসআই অমল কুমার রায় জানান, ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই প্রমিক শিশির কির্ত্তনীয়া পলাতক আছে। তাই তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

মেয়ের বড় ভাই জানায়, বুধবার রাতে বিয়ে হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

রাজৈর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন ভূইঞা জানান, আজ রাতে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আটক ছেলের বড় ভাই বিদ্যুৎকে ছেড়ে দিয়েছি।

(এএসএ/এএস/এপ্রিল ২০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test